Fishermen Arrested in Bangladesh

বাংলাদেশে ধৃত কাকদ্বীপের আরও ১৬ জন মৎস্যজীবী! ‘কেন্দ্রকে বলেও লাভ হয়নি’, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী

কিছু দিন আগে এ পার বাংলার ৬৯ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নতুন করে আরও ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। বিধানসভায় তা নিয়ে মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৪
Share:

বাংলাদেশে ধৃত মৎস্যজীবীদের জন্য আইনজীবী দেওয়া হয়েছে, বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

পশ্চিমবঙ্গের আরও ১৬ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করা হল বাংলাদেশে। কিছু দিন আগে কাকদ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই নিয়ে গত কয়েক দিনে বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হলেন ভারতের মোট ৮৫ জন মৎস্যজীবী। মাছ ধরার সময়ে তাঁদের ট্রলার বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়ায় এই ধরপাকড়। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশে ধৃত মৎস্যজীবীদের কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।

Advertisement

মমতা বলেন, ‘‘আমাদের ৬৯ জন মৎস্যজীবী কিছু দিন আগে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁদের সেখানকার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা আইনজীবী দিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ বাংলাদেশ থেকে আসা একটি ট্রলারকে পশ্চিমবঙ্গে আটকানোর পরেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন মমতা। বৈধ কাগজপত্র থাকায় বাংলাদেশের ওই ট্রলারটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কিছু দিন আগে কাকদ্বীপ থেকে ‘ঝড়’ নামের একটি ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। সেই ট্রলারে থাকা ১৬ জন মৎস্যজীবীর পরিবারের কাছে খবর আসে, বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পর থেকেই চিন্তায় রয়েছেন তাঁদের পরিজনেরা। এর আগে আরও একটি ট্রলার আটকেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬৯ জন মৎস্যজীবীকে। সব মিলিয়ে এখন বাংলাদেশের জেলে আটকে রয়েছেন এ পার বাংলার ৮৫ জন মৎস্যজীবী। চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাঁদের পরিবারের।

Advertisement

সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে বাংলাদেশের একাংশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছেন সে দেশের সংখ্যালঘুরা। প্রতিবাদ চলছে পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার, যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কে চাপানউতর তৈরি হয়েছে। মমতা জানিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করবে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। বিধানসভা থেকে সোমবার তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর আবেদন জানাক। মমতা জানিয়েছেন, তিনি চান মৎস্যজীবীদের গ্রেফতারি এবং তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও কেন্দ্র গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement