(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা, মুহাম্মদ ইউনূস(ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ থেকে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে! শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করল মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। রবিবার ইউনূসের হাতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ক শ্বেতপত্র তুলে দেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ওই শ্বেতপত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টাকা পাচারের আনুমানিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’।
শ্বেতপত্র অনুসারে, হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব কালে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি বছর এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ‘গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি রিপোর্টস (জিএফআইআরএস) এবং নির্দিষ্ট কিছু পূর্বানুমানের ভিত্তিতে টাকা পাচারের এই অঙ্ক উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে পাচার হওয়া টাকা গিয়েছে ভারত, আমেরিকা, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশে। দাবি করা হয়েছে যে, হাসিনার আমলে বিদেশে টাকা পাচারের জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং আমলাদের মধ্যে এক অনৈতিক চক্র গড়ে উঠেছিল। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে এই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে শ্বেতপত্রে।