Bengal Recruitment Scam Case

পার্থের জামিন মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট, রিপোর্ট পড়তে সময় চান দুই বিচারপতি

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ। ইডি এবং তাঁর আইনজীবী আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেগুলি পড়ে দেখার জন্য সময় চান বিচারপতিরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২২
Share:

নিয়োগ মামলায় ধৃত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলাটি শোনার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার ডিভিশন বেঞ্চের। ওই বেঞ্চে পার্থের মামলার রিপোর্ট জমা পড়েছে। বিচারপতিরা জানান, রিপোর্ট পড়ার জন্য কিছুটা সময় লাগবে তাঁদের। তাই সোমবার মামলাটির শুনানি সম্ভব নয়।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ। শনিবার আদালতে ইডির আইনজীবী এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। ইডির দাবিগুলির বিরোধিতা করে রিপোর্ট দিয়েছেন পার্থের আইনজীবীও। উভয়পক্ষের রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চান বিচারপতিরা। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রিপোর্টগুলি খতিয়ে দেখা হলে পার্থের মামলাটির শুনানি হবে। আগামী বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

পার্থের জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগির বক্তব্য ছিল, তাঁর মক্কেলের বাড়ি থেকে নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়নি। যাঁর বাড়ি থেকে তা উদ্ধার হয়েছিল, তিনি সম্প্রতি জামিন পেয়ে গিয়েছেন। পার্থের আইনজীবী আরও জানিয়েছিলেন, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) মামলায় জেলবন্দি হিসাবে সর্বোচ্চ সাজার এক-তৃতীয়াংশ মেয়াদ পূরণ করে ফেলেছেন পার্থ। বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক, আবেদন করেছিলেন আইনজীবী।

Advertisement

ইডির তরফে এই আবেদনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে বলা হয়েছিল, যাঁর বাড়ি থেকে নিয়োগ দুর্নীতির নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়, তিনি পার্থের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্থ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীনই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর জানিয়েছিল, চার্জশিট ফাইল না করে কাউকে এত দীর্ঘ সময় জেলে রাখা যায় না। ‘আড়াই-তিন বছর কম সময় নয়’, মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি ভূঞা। নিয়োগ মামলায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থকে। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে নগদ পঞ্চাশ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছিল, সেগুলি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। অর্পিতা সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনও পার্থ জেলেই রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement