প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এখন ১৮০ জন আধাসামরিক জওয়ান ঘিরে থাকছেন ইডি-র কলকাতার অফিসারদের। ইডি সূত্রের খবর, এ বার আরও প্রায় ১৮০ জন অতিরিক্ত জওয়ান পেতে চলেছেন ইডির কলকাতার অফিসারেরা। সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে যে অতিরিক্ত বাহিনী চাওয়া হয়েছিল শুক্রবার তারই অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইডির অন্য সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে কোনও বড় অভিযান চালাতে গেলে অতিরিক্ত বাহিনী প্রয়োজন হতে পারে। বাড়ানো হচ্ছে মহিলা জওয়ানদের সংখ্যাও।
৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ইডির উপরে হামলার ঘটনার অব্যবহিত পরে কলকাতায় এসেছিলেন সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীন। অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর, তখনই অতিরিক্ত দুই কোম্পানি বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানানো হয়েছিল।
ইডি কর্তাদের একাংশ জানান, সন্দেশখালি যথেষ্ট শিক্ষা দিয়েছে। সেখানে প্রায় হাজার দেড়েক মহিলা ও পুরুষ তদন্তকারী-অফিসারদের লোহার রড ও কাঠের ডান্ডা দিয়ে আক্রমণ করেন। তার পরে হেলমেট, লাঠি, ঢাল, কাঁদানে গ্যাস এবং আধুনিক রাইফেল ও শটগান জওয়ানদের সঙ্গে রাখার নির্দেশ জারি হয়। সিআরপিএফের এক কর্তার কথায়, “সন্দেশখালিতে নিখুঁত পরিকল্পনায়, মহিলাদের সামনে রেখে হামলা চালানো হয়েছিল। মহিলাদের আটকানোর চেষ্টা হলে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল। তাই এখন অভিযানে মহিলা জওয়ানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
ইডি সূত্রের খবর, বর্তমানে সিজিও কমপ্লেক্স ও অফিসারদের নিরাপত্তা, তল্লাশির জন্য এক কোম্পানি সিআইএসএফ ও এক কোম্পানি সিআরপিএফ রয়েছে। সিআরপিএফ সূত্রের দাবি, চলতি সপ্তাহে ধাপে ধাপে আর যে দুই কোম্পানি কলকাতায় যোগ দেবে সেখানে ৪০ থেকে ৪৫ জন মহিলা জওয়ান রয়েছেন।