সময়ের আগেই দেশে এবং বাংলায় প্রবেশ করেছিল বর্ষা। —ফাইল চিত্র ।
সময়ের আগেই দেশে এবং বাংলায় প্রবেশ করেছিল বর্ষা। তবে তা নির্ধারিত সময়ে না-ও পৌঁছতে পারে দক্ষিণবঙ্গে! দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমনে কয়েক দিন বিলম্ব হতে পারে বলেই মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, আগামী ১০ জুনের বদলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে ১২ বা ১৩ জুন নাগাদ।
আগামী ৩১ মে কেরল হয়ে বর্ষা প্রবেশ করার কথা ছিল দেশে। কিন্তু দেশবাসীকে দহনজ্বালার হাত থেকে মুক্তি দিতে এক দিন আগেই, অর্থাৎ ৩০ মে কেরল উপকূলে এসে পৌঁছয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। কেরলে ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বর্তমানে একটু একটু করে উত্তর-পূর্বের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজ়োরাম, মণিপুর এবং অসমেও। সেই আবহে হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, সব ঠিকঠাক চললে জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে দু’দিন-তিন দিন দেরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ। মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশে বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
এক আবহবিদের কথায়, ‘‘মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ কোথাও বেশি থাকে, কোথাও কম। বর্তমানে দেশের পশ্চিমভাগে মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ বেশি। তাই এ দিকে কম। তাই ১১ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা আপাতত নেই।’’
হাওয়া অফিস এ-ও জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ না করা পর্যন্ত আপাতত কয়েক দিন দহনজ্বালায় পুড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। বৃদ্ধি পাবে গরম। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তাপমাত্রাজনিত অস্বস্তিও বৃদ্ধি পাবে বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
উল্লেখ্য, দেশে সাধারণত জুন মাসে প্রবেশ করে বর্ষা। ফিরে যায় সেপ্টেম্বরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এ বছর দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বের কিছু অংশ ছাড়া সারা দেশে ভাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।