ছবি পিটিআই।
অবশেষে রাজ্য থেকে পাততাড়ি গোটাতে শুরু করেছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই বীরভূম ও কোচবিহার থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে রাজ্য থেকে পুরোপুরি সে বিদায় নিতে পারে বলে মনে করছেন মৌসম ভবনের আবহবিজ্ঞানীরা। চলতি সপ্তাহেই গোটা দেশ থেকেই বর্ষা বিদায় নিতে পারে বলেও মৌসম ভবনের খবর। যা শুনে কেউ কেউ বলছেন, তাহলে কি দুর্গাপুজো শেষ করে তবেই বর্ষা বিদায় নেবে?
রাজ্য থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার দিন ১৪ অক্টোবর। কিন্তু শেষ বেলায় বঙ্গোপসাগরে একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সেই বিদায়বেলা বিলম্বিত হয়েছে। দুর্গাপুজোতেও বৃষ্টির আভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে নিম্নচাপটি দ্রুত মুখ ঘুরিয়ে বাংলাদেশ পাড়ি দেওয়ায় সেই আশঙ্কা শেষ অবধি সত্যি হয়নি।
নিম্নচাপের প্রভাব কাটতেই রাজ্যে অবশ্য একটা হিমেল ভাব শুরু হয়েছে। বিশেষত রাতে বা ভোরে হিম পড়ছে। আকাশও পরিষ্কার হচ্ছে। বর্ষা পুরোপুরি বিদায় হলে হিমেল ভাব আরও বাড়তে পারে। ফলে এবার কালীপুজোর সময় রাতে হিম পড়ার সম্ভাবনাও থাকছে। তবে আবহবিদদের কেউ কেউ এও বলছেন, বর্ষা ও শীতের মাঝে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তেমন কিছু হানা দিলে ফের আবহাওয়া বদলে যেতে পারে। এ বছর অবশ্য দুর্যোগের ঘনঘটা রয়েছে। ফের নতুন কোনও দুর্ভোগ পোহাতে হয় কি না, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। ঋতু বদলের এই সময়ে নানা ধরনের অসুখ মাথাচাড়া দেয়। সে দিক থেকেও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত রাতের বা ভোরের হিম থেকে সাবধান থাকতে বলেছেন।