—প্রতীকী ছবি।
গরমের মধ্যে অবশেষে রাজ্যে পা রাখল বর্ষা। সোমবার উত্তরবঙ্গের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে বর্ষা। এই রাজ্যে প্রথম উত্তরবঙ্গেই বর্ষার আগমন হয়। তার পরেই মৌসুমি বায়ু ঢোকে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ছিল ১০ জুন। নির্ধারিত সময়ের ২ দিন পর উত্তরবঙ্গে ঢুকল বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১২ জুন। হিসেব মতো সোমবার বর্ষা ঢোকার কথা দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু, কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে বর্ষার জন্য এখনও অপেক্ষা করতে হবে।
চলতি বছরে দেশে বর্ষা দেরিতে এসেছে। দেশের মধ্যে প্রথম কেরলে পা রাখে মৌসুমি বায়ু। স্বাভাবিক সময় ১ জুন। এই বছর ৮ জুন কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। তার পর থেকেই বর্ষার অপেক্ষায় ছিল বাংলা। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। গত কয়েক দিন ধরে অসহনীয় গরমে হিমশিম খেয়েছেন রাজ্যবাসী। কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে সকলেই বর্ষার অপেক্ষায় ছিলেন।
সোমবার ভোর থেকেই কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় মেঘলা আকাশ ছিল। গত কয়েক দিনের তুলনায় সোমবার সকালের আবহাওয়া আরামদায়ক ছিল। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মিলেছে। গুমোট ভাব বজায় ছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলার দু’একটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পাশাপাশি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়ার দু’একটি এলাকায় সোম এবং মঙ্গলবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের দু’একটি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।