Md. Salim

Mohammed Salim: রাজ্য সম্পাদক হয়ে বুদ্ধদার পরামর্শ নিয়ে এসেছি, আলোচনাও হয়েছে, বললেন সেলিম

সেলিম বলেন, ‘‘আমরা প্রমোদ দাশগুপ্তকে পাইনি। প্রমোদবাদু যাঁদের তৈরি করেছিলেন, সেই বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য— এঁদের কাছ থেকে শিখেছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২২ ১৩:২০
Share:

রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েই বুদ্ধদেবের বাড়িতে যান সেলিম। ফাইল চিত্র।

সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মহম্মদ সেলিম। প্রায় এক ঘণ্টা বুদ্ধদেবের বাড়িতে ছিলেন। তবে কী কথা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি তিনি। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে অবশ্য সেলিম জানালেন, সে দিন তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অগ্রজ। অনেক আলোচনাও হয়েছিল।

শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠান ‘অ-জানাকথা’য় মহম্মদ সেলিমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বুদ্ধদেবের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার জন্যই কি রাজ্য সম্পাদক হয়ে সন্ধ্যাবেলা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি? কী পরামর্শ দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব? কী আলোচনা হয়েছিল? এর উত্তরে সেলিম প্রথমে বলেন, ‘‘বুদ্ধদার স্ত্রীকে মীরাদি বলি আমি। বুদ্ধদা, মীরাদি, তাঁর মেয়ে... একটা পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক তো আছেই।’’ একটু থেমে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘যুব আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি (বুদ্ধদেব)। ছাত্র আন্দোলন থেকে রাতারাতি আমি যে যুব আন্দোলনে এলাম, তখন উনি যুব থেকে বিদায় নিচ্ছেন।’’

Advertisement

সেলিম আরও যোগ করেন, ‘‘তাঁর মতো লোক সে দিন বলেছিলেন যুব করো, ছাত্র করতে হবে না। আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বললেন পশ্চিমবঙ্গে আসতে হবে। আমরা তো প্রমোদ দাশগুপ্তকে পাইনি। প্রমোদবাদু যাঁদের তৈরি করেছিলেন, সেই বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অনিল বিশ্বাস— এঁদের কাছ থেকে আমরা শিখেছি।’’

সেলিম আরও জানান, ‘‘প্রায়শই বুদ্ধবাবুর সঙ্গে তাঁর ভাবনার আদানপ্রদান হয়ে থাকে। সব সময় তাঁর বাড়িতে যাওয়া হয় না বটে, কিন্তু কথাবার্তা হয়। আগে বেশি যেতাম। কিন্তু এখন বুদ্ধবাবু অসুস্থ। তার মধ্যে করোনার ভয় রয়েছে। তাই এখন সব সময় ওঁর বাড়ি যাই না।’’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে বেশি কথাবার্তাও বলা হয় না বলেও জানান তিনি। সে দিন কি কোনও পরামর্শ নিয়েছিলেন? সেলিম জানান, হ্যাঁ। তিনি পরামর্শ পেয়েছিলেন। আগ বাড়িয়ে বুদ্ধবাবু কাউকে পরামর্শ দেন না জানিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘আমি একে পরামর্শ বলব না। হিন্দি শব্দে বলতে পারি, বিচার-বিমর্শ হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement