singer ranu mondol

পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে, এই গানগুলো গেয়ে মুগ্ধ করলেন থানাকে, বেরিয়ে এলেন বায়নার টাকা নিয়ে

পুলিশ সূত্রে খবর, কী কারণে রাতে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছেন থানায় নিয়ে আসার পরে তা আসফাকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন আধিকারিকেরা। তাঁর হাতের আঙুলে প্রচুর আংটি ছিল। রসিকতা করে কেউ কেউ জানতে চান, তিনি হস্তরেখাবিদ কি না। জবাবে আসফাক জানান, তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বেড়ান। এ ভাবেই চলে রোজগার।

Advertisement

অভিজিৎ পাল

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:১৮
Share:

শিল্পী: আসফাক।—নিজস্ব চিত্র।

গভীর রাতে স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের যুবক। সন্দেহ হয় টহলদার পুলিশের। আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুর থানায়। মহম্মদ রফি, কিশোরকুমারের একের পর এক গান গেয়ে সেখানে সকলকে মাতিয়ে দেন ওই যুবক। ছাড়া তো পান-ই, সঙ্গে থানায় অনুষ্ঠান করার জন্য তিনি হাতে পেয়ে যান অগ্রিম টাকাও। আচমকা এমন সুযোগ পেয়ে খুশি ইসলামপুর মেলার মাঠের বাসিন্দা মহম্মদ আসফাক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, কী কারণে রাতে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছেন থানায় নিয়ে আসার পরে তা আসফাকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন আধিকারিকেরা। তাঁর হাতের আঙুলে প্রচুর আংটি ছিল। রসিকতা করে কেউ কেউ জানতে চান, তিনি হস্তরেখাবিদ কি না। জবাবে আসফাক জানান, তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বেড়ান। এ ভাবেই চলে রোজগার।

থানা সূত্রে খবর, তাঁকে আইসির ঘরে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধে রফি, কিশোরের জনপ্রিয় কয়েকটি গান গেয়ে শোনান আসফাক। তাঁর গলায় সে সব শুনে হতচকিত হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। থানার ‘টাউনবাবু’ সৌমিক চক্রবর্তী মোবাইল ফোনে আসফাকের গানের ভিডিয়ো তোলেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আপলোড’ও করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন-চার দিনে এক হাজার জনের ডেঙ্গি উত্তর ২৪ পরগনায়

ওই সময় থানায় থাকা পুলিশ অফিসারেরা বলছেন, ‘‘এত উঁচু স্কেলের গান প্রতিভা না থাকলে কেউ সহজে গাইতে পারবেন না।’’ কী কী গান করেন আসফাক? পুলিশ সূত্রে খবর— ‘লোগ কহেতে হ্যায় ম্যায় শরাবি হুঁ’, ‘হাথো কি চন্দ লকিড়োঁ কা’ গানে মাতিয়ে দেন ওই যুবক। গান শুনে থানার পরের অনুষ্ঠানের জন্য তাঁকে ৫০০ টাকা অগ্রিম ধরান আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়। শমীক বলেন, ‘‘ওঁর মধ্যে আলাদা প্রতিভা রয়েছে। না হলে এমন কঠিন গান এত সহজে গাইতে পারতেন না। থানার অনুষ্ঠানে ওঁকে গান করার কথা বলেছি। অগ্রিমও দিয়েছি।’’ তিনি আরও জানান, আসফাকের গানের ভিডিয়ো ‘ফেসবুকে’ আসার পর থেকেই লাইক, কমেন্ট বেড়েই চলেছে।

ইসলামপুরবাসীর একাংশ বলছেন, রানাঘাট স্টেশন থেকে এ ভাবেই হদিশ মিলেছিল রানু মণ্ডলের। ইসলামপুর স্টেশন চত্বরে খোঁজ মেলা আসফাকের গান যে রানুর মতোই নেট-দুনিয়ায় ‘ভাইরাল’ হবে না, তা কে বলতে পারে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement