—প্রতীকী ছবি।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের রায় এই রাজ্যের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভাল হয়েছে। এমনই মত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। সোমবার এর পাশাপাশি অবিলম্বে রাজ্যপালের অপসারণেরও দাবি করেন তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই চেয়ে আসছিলাম, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। এই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট তাকে কার্যত বৈধতা এবং মান্যতা দিয়েছে। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর যে অধিকার, তা এই রায়ে প্রতিফলিত হল।’’ এ দিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও নানা বিরূপ মন্তব্য করেন ব্রাত্য।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা মহলে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ওয়েবকুটা) সভাপতি শুভোদয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান জানিয়েও বলতে হয়, এই রায়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উপাচার্যের নিয়োগ শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক নিয়োগে পর্যবসিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সভানেত্রী মহালয়া চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আচার্য ও রাজ্য সরকারের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রায় অচলাবস্থার নিরসন হবে কি না, সে নিয়ে আমরা সন্দিগ্ধ।’’ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যদের সংগঠন দ্য এডুকেশনিস্টস ফোরামের পক্ষে ওমপ্রকাশ মিশ্র অবশ্য এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরেও স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জটিলতা পুরোপুরি কাটবে কি না তার কোনও দিশা দেখতে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে হবেন সেটাও শেষে রাজনীতিবিদরাই ঠিক করে দেবেন।’’