প্রতীকী ছবি।
অসুস্থ দিদির শুশ্রূষার জন্য বছরখানেক ধরে দিদির বাড়িতে এসেছিল এক নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সুযোগেই তাকে বার বার ধর্ষণ করেছেন জামাইবাবু। এ নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য নাবালিকাকে হুমকিও দেন বলে জামাইবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগানের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম যোগেশ বড়াইক। শুক্রবার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে যোগেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানায় তাঁর শ্যালিকা এবং তাঁর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিন্নাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়ি।
পুলিশের কাছে ওই নাবালিকা জানিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর থেকেই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তার দিদি। দিদির পরিচর্যার জন্য সে সময় থেকেই দিদি-জামাইবাবুর বাড়িতে চলে আসে সে। নাবালিকার অভিযোগ, তখন থেকেই তাকে বার বার ধর্ষণ করতেন জামাইবাবু। এ নিয়ে পরিবারের কারও কাছে মুখ খুললে, তার ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দিতেন তিনি।
নাবালিকার দাবি, জামাইবাবুর হুমকি সত্ত্বেও ২ মে মা-বাবাকে সব কথা খুলে বলে সে। এর পর গোটা ‘ডুয়ার্স জাগরণ’ নামে বানারহাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদককে ঘটনার কথা জানানো হয় বলে পরিবার সূত্রে খবর। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য নিয়েই শুক্রবার বিন্নাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার নাবালিকাকে বানারহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার করানোর জন্য নাবালিকাকে পাঠিয়েছে বানারহাট থানার পুলিশ।