ফাইল ছবি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ নয়, আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে বিজেপি যুব মোর্চা কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার। নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। কলকাতার নগরপাল আরজি কর থেকে মৃতদেহটি কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। ময়নাতদন্তের পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে।
রাজ্যের উপর আস্থা নেই। তাই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছেলের দেহের ময়নাতদন্ত হোক, তা চান না মা লছমিনা চৌরাসিয়া। এই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। আগেই এই মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই মামলার শুনানিতে বিজেপির তরফে আইনজীবীরা দাবি করেন, কল্যাণীর এমসে ময়নাতদন্ত করানোর। কিন্তু কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, কল্যাণীতে ময়নাতদন্তের পরিকাঠামো নেই, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। তার পর প্রিয়ঙ্কা কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় কমান্ড হাসপাতালই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করেছিল। এই আদালতই সেই নির্দেশ দিয়েছিল।’’ রাজ্যের কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে কোনও বিচারকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হলে আমাদের আপত্তি নেই। পুরো ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।’’
সব পক্ষের সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, অর্জুনের ময়নাতদন্ত হবে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল দেহ আরজি কর হাসপাতাল থেকে কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। কমান্ড হাসপাতালের প্রধান এ জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করবেন। তাতে থাকতে পারেন আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক সায়েন্সের প্রধান এবং কল্যাণী এমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। অর্জুনের পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।