Pradip Majumder-Giriraj Singh

শীঘ্রই মিলবে ১০০ দিনের বকেয়া অর্থ, মোদীর মন্ত্রীর ফোন পেলেন মমতার পঞ্চায়েত মন্ত্রী

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে ফোন করে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। সোমবার গিরিরাজকে ফোন করেছিলেন প্রদীপ। সে সময় তিনি ফোন ধরতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২৩
Share:

নভেম্বর মাসে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। ফাইল চিত্র।

গত এক বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে রাজ্যের। সম্ভবত সেই বকেয়া বরাদ্দ পেতে চলেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে ফোন করে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। সোমবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী ফোন করেছিলেন গিরিরাজকে। কিন্তু সেই সময় কাজ কাজের ব্যস্ততার কারণে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর ফোন ধরতে পারেননি তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁকে পাল্টা ফোন করেন গিরিরাজ। ফোন করে জানিয়ে দেন, সব কাজ ঠিকঠাক ভাবেই এগোচ্ছে। শীঘ্রই ১০০ দিনের বকেয়া বরাদ্দ পেয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ। প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজের টাকা পায়নি রাজ্য। প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্বে ছিলেন পুলক রায়। তিনিও অনেক চেষ্টা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের বরাদ্দ চেয়ে কথা বলেছিলেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁর সময়কালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন।

Advertisement

পরে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটালে পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্বে আসেন প্রদীপ। দায়িত্ব পেয়েই তিনি যোগাযোগ শুরু করেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। নভেম্বর মাসে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই গ্রামের উন্নয়নের জন্য রাজ্যের একাধিক দাবি নিয়ে সরব হন তিনি। তার পরেই একে একে গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে। এ বার ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ পাওয়ার আশ্বাস পেল রাজ্য। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বরাদ্দ গ্রামীণ উন্নয়নে রাজ্য সরকারের বড় হাতিয়ার হতে পারে বলেই মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। যদিও বরাদ্দ পাওয়া প্রসঙ্গে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement