ফাইল ছবি
কোভিড কালে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ ছিল স্কুল। ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এত দিন পরে স্কুল খুললে কী অবস্থায় থাকবে ক্লাসঘর? কোভিড সংক্রমণ এড়াতে কী পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার? শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি স্কুলের পরিকাঠামোর জন্য বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করেছেন। এত দিন ধরে স্কুল বন্ধ আছে, ক্লাসঘরের অবস্থা কী রকম, সে বিষয়ে জেলাশাসকের মাধ্যমে আমরা রিপোর্ট আনিয়েছি। কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে শিক্ষকদের দু’টি টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এখনও নীতি ঘোষিত হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার পড়ুয়াদের নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় বলেই মনে হচ্ছে। তার মধ্যেও দূরত্ব রেখে বসা, টিফিন পিরিয়ড ছোট করে দেওয়া, স্যানিটাইজ করা, এ সব করা হচ্ছে। স্থানীয় স্তরের জন-প্রতিনিধিরা স্কুলের সামনে গিয়ে স্যানিটাইজার দেবেন বলেও কথা হয়েছে।’’
এর মধ্যে প্রশ্ন আসে, স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠানোর বিষয়ে কি অভিভাবকদের মত নেওয়া হবে। কোনও অভিভাবক চাইলে তো স্কুলে তাঁর সন্তানকে না-ও পাঠাতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কী হবে? ব্রাত্য বললেন, ‘‘প্রশ্নকর্তা কী বলতে চাইছেন, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট। এই বিষয়টা আমাদের মাথায় থাকবে, দেখি কী করা যেতে পারে।’’