মঞ্চে অখিল গিরি। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর ভিড় থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার কালীপুজোয় আগে থেকেই কড়া হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। ভিড় ঠেকাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জলসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পুজো কমিটিদের ডেকে আগাম সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়। তারপরেও খোদ মন্ত্রীর পুজোয় হল বিধি ভাঙা ভিড়। উদ্বোধনী মঞ্চে গানও শোনালেন সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।
বুধবার সন্ধ্যায় কাঁথি শহরের ক্যালটেক্স মোড়ে স্থানীয় ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধন ছিল। ওই ক্লাবের কর্তা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। অনুষ্ঠানে তিনি, তাঁর ছেলে যুব তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি। আর উদ্বোধক হিসেবে মঞ্চে ছিলেন শিল্পী নচিকেতা। তিনি একের পর এক গান শোনান। অনুষ্ঠানে দূরত্ব বিধি উড়িয়ে ভিড় জমান উৎসাহীরা। অধিকাংশের মুখে মাস্কও ছিল না।
খোদ মন্ত্রীর পুজোয় কোভিড বিধিভঙ্গে শোরগোল পড়েছে। সরব বিরোধীরাও। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উৎসবে সকলকে শামিল করার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা উদ্বুদ্ধ করাও ক্লাবগুলির দায়িত্ব। অথচ শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা এ ভাবে পুজো করে কোভিড বিধি ভাঙতে সবাইকে উৎসাহিত করছেন।’’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জলসা এবং জমায়েতের কি অনুমতি ছিল?
মহকুমাশাসক বলছেন, ‘‘পুজো করার জন্য মহকুমা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছিল। আর জলসা, অনুষ্ঠানের অনুমতি তো স্থানীয় থানা দেয়। তবে একজন জনপ্রিয় শিল্পী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসায় সাময়িক ভাবে কিছু মানুষ ভিড় করেছিলেন।’’ দায় এড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা ওই
ক্লাবের সভাপতি অখিল গিরির আবার বক্তব্য, ‘‘জনতাই বলতে পারবে কেন তাদের মুখে মাস্ক ছিল না! আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’’ আয়োজকরা আরও বলছেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে বারবার সবাইকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করা হয়।