জমায়েতে হরিনাম। মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে।—নিজস্ব চিত্র।
দাবি জানাতেই জড়ো হওয়া। কিন্তু বিক্ষোভ না দেখিয়ে খোল-করতাল সঙ্গতে হরি বোল ধ্বনি-সহ গানের সঙ্গে নাচতে নাচতে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিলেন সারা ভারত কীর্তন ও ভক্তিগীতি শিল্পী সংসদের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার সদস্যরা।
দুঃস্থ ও অবসরপ্রাপ্ত শিল্পীদের ভাতা, স্বাস্থ্য বিমা ও দুর্ঘটনা বিমা, রেল ও সরকারি যানবাহনে ভাড়ায় ছাড়, যোগ্য শিল্পীদের সরকারি স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান, কীর্তন ও ভক্তিমূলক সঙ্গীতের প্রসারে সরকারি অনুষ্ঠান আয়োজন-সহ ১০ দফা দাবিতে ছিল এ দিনের বিক্ষোভ। সংগঠনের জেলা সম্পাদক চন্দন দাস অধিকারী, দাসপুর ব্লক সম্পাদক সজল ঘোড়ইরা বলেন, “পাঁচ বছর ধরে এই সব দাবি জানিয়ে আসছি সরকারের বিভিন্ন দফতরে। কোনও সুফল মেলেনি। আবারও স্মারকলিপি দিলাম। দাবি না মানা হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
এ দিনের কর্মসূচিতে অবশ্য আন্দোলনের ঝাঁঝ ছিল না। হরিনাম করতে করতে এক দল লোক জেলাশাসকের দফতরে ঢুকছে দেখে পথচলতি লোকজনও অবাক হয়ে যান। তবে কালেক্টরেটের প্রধান গেট বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। যাতে হরিনাম সংকীর্তন করতে করতে সকলে ভেতরে না ঢুকে যান। সংগঠনের কয়েকজন প্রতিনিধিকে দাবিপত্র নিয়ে জেলাশাসকের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘দাবিপত্র পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’’ দাবি পূরণ হোক বা না হোক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা মানছেন, কীর্তন-ভক্তিগীতি গাইয়েদের দাবি জানানোর পদ্ধতিটি অভিনব।