জখম নেতা বিজয় পাল।—নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রীতির মিছিলে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইটের আঘাতে কয়েকজন আহতও হলেন। মাথা ফাটল সিপিএমের জেলা নেতা বিজয় পালের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কোতয়ালি থানা এলাকার রাজারবাগানে। সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “মিছিল যাওয়ার সময় রাজারবাগানে মিছিল আটকে দেয় তৃণমূল। পুলিশও তৃণমূলের সুরেই জানিয়ে দেয়, আর মিছিলের দরকার নেই। বাধ্য হয়েই মিছিল বন্ধ করে ফিরে আসার সময় আমাদের দিকে ইট, পাথর ছুড়তে থাকে। তাতে কয়েকজন আহত হন।” এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘচনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রয়াণ দিবসে সম্প্রীতির মিছিলের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট। সেই উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে কোতয়ালি থানা এলাকার আমতলার ঘাট থেকে হাতিহলকা পর্যন্ত মিছিলের সিদ্ধান্ত নেয় বামফ্রন্ট। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই হাজির ছিল পুলিশ। অভিযোগ, মিছিল হাতিহলকা ঢোকার আগেই রাজারবাগানে আটকে দেয় তৃণমূল। বামফ্রন্টও প্রথমে পিছু হঠতে রাজি ছিল। মিছিল হাতিহলকাতে শেষ করবে বলে জানায়। যদিও পুলিশও ওখানেই মিছিল শেষ করে দেওয়ার কথা জানায় বলে বামফ্রন্টের অভিযোগ। সংঘর্ষ এড়াতে বাধ্য হয়েই বামফ্রন্ট মিছিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
সিপিএমের অভিযোগ, মিছিল বন্ধ করে যখন সকলে বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখনই দূর থেকে তাঁদের লক্ষ করে ইঁট, পাথর ছুঁড়তে শুরু করে কয়েকজন। দৌড়ে পালাতে থাকেন বামফ্রন্ট সমর্থকেরা। তারই মধ্যে কয়েকজনের গায়ে, মাথায় ইঁট লাগে। তাতেই জখম হন বিজয়বাবু। বামফ্রন্টের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নিস্ক্রিয় থেকেছে। বিজয়বাবুর অভিযোগ, “আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। তবু নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর আগেই মিছিল শেষ করতে বলা হয়। আমরাও মেনেও নিই। তারপরেও আমাদের লক্ষ করে ইট ছুড়ল। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে আগে থেকে পরিকল্পনা করেই আমাদের মিছিলের উপর হামলা চালানো হল।” তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়। কী হয়েছে দেখছি।”
এ দিন সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাঁধী মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। তৃণমূল এবং কংগ্রেসের তরফেও হয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। শহিদ দিবস হিসাবে নানা অনুষ্ঠানও হয়েছে।