সংগঠনে মন দেওয়ার পরামর্শ বেচারামের

সমালোচনা বন্ধ করে নেতা-কর্মীদের সংগঠনের কাজে মন দেওয়ার পরামর্শ দিলেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তৃণমূলের কৃষক সংগঠন ‘কিষান ও খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস’-এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় যোগ দিতে শনিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন বেচারাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৮:০৯
Share:

সমালোচনা বন্ধ করে নেতা-কর্মীদের সংগঠনের কাজে মন দেওয়ার পরামর্শ দিলেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তৃণমূলের কৃষক সংগঠন ‘কিষান ও খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস’-এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির বর্ধিত সভায় যোগ দিতে শনিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন বেচারাম। সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা অন্যের সমালোচনা করতে বেশি পছন্দ করি। চা দোকানে বসে নেতাদের সম্পর্কে আলোচনা করি। এ সব বন্ধ করতে হবে। সংগঠন মজবুত করতে হবে। প্রতিটি গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সকলের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড করাতে হবে। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।” নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে তৃণমূলের সিঙ্গুর আন্দোলনের ওই নেতা বলেন, “ভাববেন না, সিপিএম মরে গিয়েছে। সিপিএম কেউটে সাপের মতো। অনেক সময় আলের ধারে পড়ে থাকে। অনেকে ভাবে, মরে গিয়েছে। কিন্তু তা নয়। যখন-তখন ছোবল মারতে পারে।”

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্‌ ঘোষ প্রমুখ। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কৃষক সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বর্ধিত সভা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনকে মজবুত করার কথা বলেন দীনেনবাবুও। তাঁর কথায়, “কৃষক আমাদের বন্ধু। আমরা কৃষকদের নিয়েই লড়াই করছি। কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। প্রতিদিনের সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” গত আড়াই বছরে রাজ্যে কী কী উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়েছে, গ্রামে গ্রামে তা প্রচার করার নির্দেশ দেন বেচারাম। তিনি বলেন, “আমরা অভাবি বিক্রি বন্ধ করতে পেরেছি। এখন কৃষক ফসলের দু’টো দাম পাচ্ছে। কিষাণ মাণ্ডি হচ্ছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ৩৪১টি ব্লকেই কিষাণ মাণ্ডি হবে।”

কৃষকদের শিক্ষিত করার উপরও রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলে দাবি করেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কৃষকদের শিক্ষিত করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে বোঝাতে হবে। তাদের নিয়ে কর্মশালা করতে হবে। ইতিমধ্যে এ সব কাজ শুরু হয়েছে।” এ জন্য কৃষি পাঠশালা খোলার ভাবনাচিন্তাও তাঁর রয়েছে বলে জানান বেচারাম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement