Food Price

খাবারের দাম গৌণ! মন্ত্রীর মন্তব্যে চমক

অক্টোবরে বেড়েছে পাইকারি দরও (২.৩৬%)। দুই বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যথাক্রমে ১০.৮৭% এবং ১৩.৫৪%।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৮
Share:
বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।

বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। —ফাইল চিত্র।

দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সহনসীমা ছাপিয়ে ৬.২১ শতাংশে পৌঁছেছে। অক্টোবরে বেড়েছে পাইকারি দরও (২.৩৬%)। দুই বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যথাক্রমে ১০.৮৭% এবং ১৩.৫৪%। ফলে অদূর ভবিষ্যতে সুদ কমার সম্ভাবনা যে কার্যত নেই, সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এই অবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের মন্তব্য চমকে দিয়েছে গোটা আর্থিক মহলকে। তাঁর অভিমত, শীর্ষ ব্যাঙ্কের উচিত অবিলম্বে সুদের হার কমানো। এর জন্য খাদ্যপণ্যের দামকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। কংগ্রেস এই মন্তব্যকে ‘অসংবেদনশীল’ বলেছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বিতর্কে ঢুকতেই চাননি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, সুদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় ঋণনীতি কমিটি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে গয়াল বলেন, ‘‘রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অবশ্যই সুদ কমানো উচিত। তা আর্থিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে। সুদ কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়া একটি ত্রুটিপূর্ণ তত্ত্ব। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। সরকারের মত নয়।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য ব্যাখ্যা, সরকারের প্রতিনিধি হিসেবেই চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন গয়াল। কারণ, মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃত মজুরি এক জায়গায় আটকে থাকায় বিরক্তি বাড়ছে মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে। চাহিদা কমায় মুখ খুলতে শুরু করেছে কর্পোরেট ক্ষেত্র। বেসরকারি লগ্নি বাড়িয়ে অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি করা না গেলে অবস্থার উন্নতি অসম্ভব। সরকার তা ভাল ভাবেই জানে।

গয়ালের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা সম্পর্কে উদ্বেগের পাশাপাশি এই বক্তব্য অত্যন্ত অসংবেদনশীল। খাদ্যপণ্যের দাম অনেক দিন ধরেই বাড়ছে। এখন তা দুই অঙ্কে। ভারতীয় পরিবারের বাজেটে এর গুরুত্ব অনেক। ফলে ঋণনীতি তৈরির ক্ষেত্রে একে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। অজৈবিক প্রধানমন্ত্রী একটি কৌশলই জানেন। পরিসংখ্যান পছন্দ না হলে গোটা পরিসংখ্যানটাই বদলে ফেলা।’’ যে অনুষ্ঠানে গয়াল বক্তৃতা দিয়েছেন, সেখানে এ দিন শক্তিকান্তও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সুদ নির্ধারণের দায়িত্ব ঋণনীতি কমিটির। ডিসেম্বরের বৈঠকে তারা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement