তিন মাস চাকরি করার পরে এক শিক্ষকের চাকরির সুপারিশ বাতিল করে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছেন।
সুজয় বেজ নামে ওই শিক্ষক বাঁকুড়া জেলার কুশমারি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ দিন জানান, ২০১২ সালের ২৯ জুলাই এসএসসি-র লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সুজয়বাবু। তাঁর বিষয় ছিল বাংলা। ২০১৩ সালের ৮ অগস্ট সুজয় পার্সোনালিটি টেস্টেও উত্তীর্ণ হন। ওই বছরের ২৪ অগস্ট তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়। এর পরে কমিশনের সুপারিশেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নয়াগ্রামের চন্দ্ররেখা জুনিয়র হাইস্কুলে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
সুজয়বাবুর আইনজীবী জানান, ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে সুজয়বাবুর চাকরির অনুমোদন চান। স্কুল পরিদর্শক অনুমোদন দেননি। তা সত্ত্বেও তিন মাস ধরে ওই স্কুলে শিক্ষকতা করেন সুজয়বাবু। চলতি ১ এপ্রিল এসএসসি (পশ্চিমাঞ্চল) সহকারী সচিব সুজয়বাবুকে পাঠানো নির্দেশে জানান, তাঁর চাকরির সুপারিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। তার পরেই ওই শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।
সুব্রতবাবু আদালতে জানান, তিন মাস স্কুলে শিক্ষকতার পরে চাকরি প্রত্যাহারের নির্দেশ পাঠানো কেবল সংবিধানবিরোধীই নয়, এক জন নাগরিকের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার সামিল। এমনকী, এসএসসি-র আইনজীবীও আদালতে স্বীকার করেন, চাকরি প্রত্যাহারের ওই নির্দেশ আইনগ্রাহ্য নয়। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি কমিশনের ওই নির্দেশ খারিজ করে দেন।