এর আগে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, বিরোধীদের কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতে না জড়ানোর। বামেদের সিঙ্গুর থেকে শালবনি পদযাত্রা শুরু হতেই ফের জেলার কর্মীদের সেই বার্তা দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
শিল্প ও কাজের দাবিতে শনিবার সিঙ্গুর থেকে শুরু হয়েছে এই পদযাত্রা। ২২ জানুয়ারি তা শেষ হবে শালবনিতে। ১৯ জানুয়ারি পদযাত্রা ঢুকবে পশ্চিম মেদিনীপুরে। গত ১০ জানুয়ারি কেশপুরে এই পদযাত্রার সমর্থনে বেরনো মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বামেদের পদযাত্রা ঘিরে যাতে ফের অশান্তি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য কর্মীদের সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের কথায়, ‘‘সিপিএম নিজেরাই গণ্ডগোল বাধিয়ে আমাদের নামে চাপিয়ে দিতে পারে। তাই যে দিন যে পথে পদযাত্রা যাবে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলের সব ধরনের কর্মসূচি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” যাতে দলীয় কর্মীরা কোনও রকম সংঘর্ষ বা বিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ব্লক নেতাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চারদিন ধরে চলবে বামেদের পদযাত্রা। পাঁচটি ব্লকের উপর দিয়ে তা যাবে। শেষ দিন শালবনি স্টেশনে হবে জনসভা। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই সময় জেলা জুড়ে দলের অঞ্চল কমিটির সম্মেলন চলছে। চলছে মহিলা তৃণমূলের অঞ্চল ও ব্লক কমিটির সম্মেলনও। ২১ তারিখ যেমন কেশপুরের জামতলাতে অঞ্চল কমিটির সম্মেলন ছিল। কিন্তু ওইদিন বামেদের পদযাত্রা থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে বলে দীনেনবাবু জানান। তৃণমূল জেলা সভাপতি আরও বলেন, “পদযাত্রার আগে আমি প্রতিটি ব্লকে ঘুরবে। ব্লক নেতৃত্বকে জানিয়ে দেব, পদযাত্রার দিনগুলিতে কীভাবে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের সাফ কথা, পদযাত্রা ঘিরে কোনও অশান্তি করা যাবে না।’’ তাঁর বার্তা, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে কেউ পদযাত্রা করতেই পারে। তাতে বাধা দেওয়া হবে না।