মনোনয়ন পর্বে গোলমাল। —নিজস্ব চিত্র
ফের সমবায় ব্যাঙ্কের মনোনয়ন পর্বে বাধার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন দলের সমর্থকদের মনোনয়নে বাধা দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপর্ব শুরুর পর থেকে দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা বাদানুবাদে জড়ান। মাঝে পড়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার কৌশিক চক্রবর্তী প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। দুপুরে বাম-সমর্থিত আবেদনপ্রার্থীরা কোতয়ালি থানার সামনে অবস্থান শুরু করেন। সমবায় দফতর অবশ্য জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের মনোনয়নপর্বে তেমন কোনও গোলমাল হয়নি। সুষ্ঠু ভাবেই মনোনয়নপর্ব হয়েছে।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর শহরের পিপলস্ কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নির্বাচন। গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপর্ব। চলবে কাল, শনিবার পর্যন্ত। সব মিলিয়ে ৫১ জন প্রতিনিধি (ডেলিগেট) নির্বাচিত হবেন। এই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে শহরে উত্তেজনার পারদও চড়ছে। একদিকে যেমন ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বামেরা। অন্য দিকে, বামেদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া তৃণমূলও। মনোনয়নপর্বের প্রথম দিন বুধবারও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবারও একই পরিস্থিতি হয়। সিপিএমের জেলা নেতা কীর্তি দে বক্সীর কটাক্ষ, “সুষ্ঠু ভোটে যেতে তৃণমূলের ভয় কীসের?” তাঁর কথায়, “প্রয়োজনে আমরা অবরোধে যাবো।” তৃণমূলের জেলা নেতা প্রদ্যোত্ ঘোষ অবশ্য বলেন, “কাউকে মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়নি। বাধা দেওয়া হবেই বা কেন?” প্রহৃত রিটার্নিং অফিসার কৌশিকবাবু বলেন, “মাথায় আঘাত করা হয়েছে। মৌখিক ভাবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
পুলিশ পদক্ষেপ করছে না? পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগ এলেই তা পদক্ষেপ করা হয়েছে। মনোনয়নপর্বে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে ছিল। ব্যাঙ্কের আশপাশেও পুলিশ নজরদারি চালায়। আজ, শুক্রবারও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।