কারখানা সম্প্রসারণের জন্য আয়োজিত পরিবেশগত জন শুনানিতে এসে রাস্তা সংস্কার থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্ন শৌচালয়ের দাবি জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার দুপুরে হলদিয়ায় মহকুমাশাসকের অফিসের সভাগৃহে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে দুর্গাচকের ভুঁইয়ারায়চকের ‘মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট লিমিটেড’ নামে একটি ফেরো অ্যালয় কারখানার সম্প্রসারণের বিষয়ে জন শুনানির আয়োজন করা হয়। শুনানিতে ওই শিল্প সংস্থার আধিকারিকেরা পরিবেশ দূষণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য জানতে চান। শুনানিতে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার উন্নয়ন, রাস্তা সংস্কার, পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের তৈরির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শুনানিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি কারখানার কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) প্রশান্ত অধিকারী, হলদিয়ার মহকুমাশাসক শঙ্কর নস্কর, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক প্রমুখ।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে হলদিয়ার দুর্গাচকের ভুঁইয়ারায়চকে প্রায় ৩৯ একর জমিতে একশো কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট লিমিটেড’ নামে ফেরো অ্যালয় কারখানা গড়ে ওঠে। সম্প্রতি ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই কারখানা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে কারখানার বর্তমান জমিতেই সম্প্রসারণের কাজ হবে। শুনানিতে কারখানা সম্প্রসারণের পর পরিবেশের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) প্রশান্ত অধিকারী জানান, ওই কারখানার সম্প্রসারণের বিষয়ে এ দিন জনশুনানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কারখানার সম্প্রসারণ সম্পর্কে স্থানীয়দের বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
জনশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন হলিদয়ার দুর্গাচকের বাসিন্দা সন্তোষ কুমার। সন্তোষ শুনানিতে বলেন, “কারখানার সম্প্রসারণ করলে এলাকার ভাল হবে। তবে কারখানার সামনে দিয়ে যাওয়া রাস্তার সংস্কার করা দরকার।” স্থানীয় বাসিন্দা তথা ওই কারখানার কর্মী অরুণকুমার প্রামাণিকেরও বক্তব্য, “কারখানায় পরিষ্কার শৌচালয় তৈরি করতে হবে।” রামনগরের বাসিন্দা গোপালকৃষ্ণ ঘোষ জানান, কারখানায় দূষণ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই। উৎপাদন বাড়লে স্থানীয় লোকেরা কাজ পাবেন। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নজর দিতে হবে।