Ferry on Lease

ফেরিঘাট নিলাম, প্রায় ২ কোটি টাকা জেলা পরিষদের ভাঁড়ারে

আগামী এক বছরের (চলতি বছরের ১ শ্রাবণ থেকে ৩১ চৈত্র পর্যন্ত) জন্য এরকম ১৯টি ফেরিঘাট লিজ দেওয়ার জন্য এ দিন নিলাম ডেকেছিল জেলা পরিষদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪২
Share:

পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের দফতর। —ছবি : সংগৃহীত

ফেরিঘাট লিজ দিয়ে সরকারি কোষাগারে এল প্রায় ২ কোটি টাকা। পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে রূপনারায়ণ, হুগলি, হলদির মতো গুরুত্বপূর্ণ নদী। এই নদী পারাপারে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ফেরিঘাট রয়েছে। এমনই ১৯টি ফেরিঘাটে যাত্রী পারাপারের জন্য বার্ষিক ‘লিজ’ দিতে সোমবার নিলাম ডেকেছিল জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ অফিসের সভাকক্ষে চলে নিলাম প্রক্রিয়া। দিনের শেষে ১৮টি ফেরিঘাটের নিলাম থেকে জেলা পরিষদের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। নিলাম ঘিরে যাতে গোলমাল না ঘটে, সে জন্য অফিস চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল এ দিন।

Advertisement

জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী পারাপারের জন্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ফেরিঘাট রয়েছে। সেখান দিয়ে নৌকায় যাত্রী পারাপার করানোর জন্য বার্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে ঠিকাদারদের লিজ দেওয়া হয়। আগামী এক বছরের (চলতি বছরের ১ শ্রাবণ থেকে ৩১ চৈত্র পর্যন্ত) জন্য এরকম ১৯টি ফেরিঘাট লিজ দেওয়ার জন্য এ দিন নিলাম ডেকেছিল জেলা পরিষদ। প্রতিটি খেয়াঘাটের নিলামের জন্য ন্যূনতম দরপত্র দিয়েছিল তারা। এদিন ১৯টি ফেরিঘাটের মধ্যে ১৮ টি ফেরিঘাটের নিলাম হয়েছে। একটি ফেরিঘাটের নিলামে যথেষ্ট সংখ্যক আগ্রহী ব্যক্তি না থাকায় নিলাম হয়নি।

নিলামে অংশগ্রহণ করতে আসেন লিজ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিরা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, সব কর্মাধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা শাসক (শাসক)-সহ জেলা পরিষদের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই ওই সমস্ত ফেরিঘাটের নিলাম প্রক্রিয়া চলে। এদিন নিলামে সবচেয়ে বেশি দর উঠেছে রসুলপুর-বোগা ফেরিঘাটের। ওই ফেরিঘাটের এক বছরের জন্য ৪৪ লক্ষ টাকায় ‘লিজ’ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই রয়েছে রসুলপুর (পূর্ব মেদিনীপুর) থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নামখানা (ভায়া মায়া গোয়ালিনী) ফেরিঘাট। ওই ফেরিঘাট বার্ষিক প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ‘লিজ’ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া, পেটুয়া-কাঁথি ফেরিঘাট ২৭ লক্ষ টাকায় লিজ হয়েছে। দেশপ্রাণ ও খেজুরি ব্লকের মধ্যে যোগাযোগের পেটুয়া আড়খেয়া ফেরিঘাট লিজ হয়েছে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকায় ও টেংরাখালি ফেরিঘাট (নন্দকুমার ও চণ্ডীপুর ব্লকের মধ্যে) লিজ হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকায়।

জেলার অনন্য এলাকায় থাকা ছোট-বড় ফেরিঘাটের নিলাম হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম দরে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, ‘‘জেলার বিভিন্ন এলাকায় জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফেরিঘাট লিজের জন্য নিলাম করা হয়েছে। ফেরিঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু ব্যবস্থা রাখতে লিজ গ্রহীতাদের জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement