শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাত থেকে অভিযুক্ত জামাই সন্তোষ দোলুইকে উদ্ধার করে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ে হয়েছিল বছরখানেক আগে। তার পর থেকে নিশ্চিন্তেই জীবন কাটছিল। তবে শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়ি যেতেই বিপত্তিতে পড়লেন জামাই! শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতে পারলেন, তাঁদের জামাইয়ের একাধিক স্ত্রী রয়েছেন। তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাত থেকে ‘গুণধর’ জামাইকে উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ওই যুবককে আটক করে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দাসপুর থানার সরবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুরের বাসিন্দা সন্তোষ দোলুইয়ের বিরুদ্ধে বিবাহিত অবস্থায় একাধিক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
সন্তোষের শ্বশুরবাড়ি দাসপুরের মহেশপুর গ্রামে। শ্বশুরবাড়ি লোকজন জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে হায়দরাবাদে ফুলের ব্যবসায়ী সন্তোষের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন সন্তোষ। সে সময় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন কানাঘুষোয় জানতে পারেন, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও একাধিক বিয়ে করেছেন জামাই। সে কথা জানার পর সন্তোষের সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের তুমুল অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলার কথা শুনে চলে আসেন গ্রামবাসীরাও। খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। অবশেষে সকলের সামনে সন্তোষ স্বীকার করেন, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। সন্তোষের দাবি, দাসপুরের ওই যুবতীকে ছাড়া আরও দু’জনকে বিয়ে করেছেন তিনি। এ নিয়ে সন্তোষের শ্বশুরবাড়িতে ঝঞ্ঝাট বেড়েছে বই কমেনি। অবশেষে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে সন্তোষকে উদ্ধার করে দাসপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্তোষ মোট ক’টি বিয়ে করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না থাকায় সন্তোষকে গ্রেফতার করা যায়নি।