বাসে মার প্রৌঢ়কে, প্রতিবাদ করে আক্রান্ত মহিলা

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন  সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে দিঘা থেকে বাসটি ছাড়ে। হাওড়ার আমতার বাসিন্দা সিতাংশু মিশ্র ও তাঁর দুই বন্ধু দিঘা থেকে বাসে ফিরছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০০:১৪
Share:

চলন্ত বাসে এক প্রৌঢ়কে মারধর করতে দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন সহযাত্রী এক মহিলা। উল্টে তাঁকেও মারধর করার অভিযোগ উঠল আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে দিঘা থেকে কলকাতায় ফেরার পথে একটি বেসরকারি বাসে ওই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত মহিলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোলাঘাটের হলদিয়া মোড়ে বাসটিকে আটকায় পুলিশ। মারধরের অভিযোগে আটক করা হয় দুই পুরুষ ও তিন মহিলা যাত্রীকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে দিঘা থেকে বাসটি ছাড়ে। হাওড়ার আমতার বাসিন্দা সিতাংশু মিশ্র ও তাঁর দুই বন্ধু দিঘা থেকে বাসে ফিরছিলেন। বাসে নিজের বছর সাতেকের মেয়ে ও মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কলকাতার লিন্ডসে স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই আক্রান্ত মহিলাও। বাজকুল ছাড়ার পর শিশুকে শৌচালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পরিবার চালককে বাস থামাতে বলে। বাস থামলে ওই পরিবারের পাঁচজন সদস্য-সহ অধিকাংশ যাত্রী বাস থেকে নামতে শুরু করেন। সব যাত্রী নামতে শুরু করায় সিতাংশুবাবু প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ শিশুটির পরিবারের একজন তাঁকে গালিগালাজ করলে সিতাংশুবাবু প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর শুরু করে ওই পরিবারের লোকজন। এক জন যাত্রীকে এ ভাবে মারতে দেখে প্রতিবাদ করেন তাঁর পাশের সিটে থাকা লিন্ডসে স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই মহিলা। অভিযোগ, শিশুটির পরিবারের লোকজন তাঁকে মারধর করে। মারধরের মাঝে পড়ে জখম হয় ওই মহিলার সাত বছরের শিশুকন্যাও। বাসের অন্য যাত্রীরা এতে রুখে দাঁড়ালে তাঁদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে ওই পরিবারের দুই পুরুষ ও দুই মহিলা।

ইতিমধ্যে আক্রান্ত ওই মহিলা লালবাজার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর লালবাজারের কর্তারা যোগাযোগ করেন তমলুক পুলিশ কন্ট্রোলে। কোলাঘাটে হলদিয়া মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে তখন কর্তব্যরত ছিলেন কোলাঘাট হাইওয়ে ট্রাফিক অফিসার প্রদীপ মজুমদার। তমলুক কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন যায় তাঁর কাছে। প্রদীপবাবু ফোন করেন কোলাঘাট থানায়। দুপুর আড়াইটা নাগাদ বাসটি হলদিয়া মোড়ে পৌঁছলে বাসটিকে আটক করে কোলাঘাট থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সব শুনে পুলিশ আক্রমণকারী ও আক্রান্তদের থানায় বসিয়ে রেখে বাসটিকে ছেড়ে দেন।

Advertisement

আক্রান্ত মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ছিল ঘটনার জন্য ওই পরিবারকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে আমরা লিখিত অভিযোগ করব। শেষ পর্যন্ত ওরা ক্ষমা চাওয়ায় আর অভিযোগ দায়ের করিনি।’’ যদিও কোলাঘাট থানার ওসি কাশীনাথ চৌধুরীর অবশ্য দাবি, ‘‘মারধরের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তাই কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement