তপনের শাশুড়িকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সকালে পাশের গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছেলের গলাকাটা মৃতদেহ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ছেলের শোকে এক দিন বাদেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মায়ের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার মাধবপুর গ্রামে। মৃত মহিলার নাম কল্পনা বেরা (৪৯)। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কল্যাণপুরের একটি পুকুরে উদ্ধার হয় তপন বেরা (২৭)-র গলাকাটা দেহ। সেই ঘটনা ঘিরে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেশীদের দাবি, শাশুড়ির সঙ্গে স্থানীয় এক অনলাইন লটারি ব্যবসায়ীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন তপন। বৃহস্পতিবার মৃত যুবকের শাশুড়ি, স্ত্রী এবং লটারি ব্যবসায়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে নন্দকুমার থানার পুলিশ।
তপনের বাবা শ্রীকান্ত বেরা জানান, ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা। বুধবার আচমকাই জ্ঞান হারান তিনি। প্রথমে কল্পনাকে নন্দকুমার ব্লক হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু সময় পর সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই জোড়া মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শ্রীকান্ত। এলাকাবাসীরা গোটা ঘটনার জন্য যুবকের স্ত্রী-সহ তাঁর শ্বশুর বাড়ির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরা তপনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তার পরই আটক করা হয় তপনের স্ত্রী, শাশুড়ি এবং লটারি ব্যবসায়ীকে।