ডিসেম্বর পড়েনি এখনও। তবে নভেম্বরের শেষেই কমতে শুরু করেছে মেদিনীপুরের রাতের তাপমাত্রা। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শীঘ্রই পারদ আরও নামবে। ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)-এর চেয়ারম্যান দীনেন রায় বলছেন, ‘‘ঠান্ডা যে ভালই পড়ছে, ভোরে বেরোনোর সময় টের পাচ্ছি।’’ মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেন খানও মানছেন, ‘‘এবার নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই শীতের আমেজ পৌঁছেছে শহরে।’’ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৩-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেশিরভাগ সময় তাপমাত্রা থাকছে ২০-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
শীতের প্রভাব জনজীবনেও পড়ছে। স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডের সকালের দিকের সেই চেনা ভিড় উধাও। সন্ধ্যা গড়ালেই সদাব্যস্ত শহর, শহরতলির চকগুলি ধীরে ধীরে শুনশান হয়ে যাচ্ছে। ইতিউতি চায়ের দোকানগুলিতে ভিড় জমছে। ভোরে এবং রাতের দিকে অনেককে আগুন পোহাতেও দেখা যাচ্ছে। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকছে। সকালের দিকেও কুয়াশা থাকছে। বেলা খানিক না বাড়লে সূর্যের তাপ যেন গায়েই লাগছে না।
দিন কয়েক হল, মেদিনীপুরে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমেছে। এর আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর পারদ নেমেছিল ১৫ ডিগ্রির নীচে। ওই দিন মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকেই শীতের আমেজ রয়ে গিয়েছে শহর এবং শহরতলিতে। ২৭ নভেম্বর তাপমাত্রা নেমেছিল সাড়ে ১৩ ডিগ্রির নীচে। ওই দিন মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের পরশ ভালই অনুভব করছেন শহরবাসী।
আগামী কয়েক দিন শহরের তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। গত কয়েক বছরে, কয়েকবার অবশ্য ঠান্ডায় কেঁপেছে মেদিনীপুর। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ছয়ের ঘরে। তার আগের কয়েক বছরে শীতের মরসুমে একাধিকবার এখানকার তাপমাত্রা সাতের ঘরে নেমেছে। তবে তার নীচে নামেনি। গত শীতের মরসুমের একদিন মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ৬.৭৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ওই মরসুমের শীতলতম দিন ছিল সেটাই।
এ বার কি কনকনে হাওয়া আরও ধারালো হবে! জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।