প্রতীকী ছবি।
‘বাংলার গর্ব মমতা’র ফেসবুক পেজে জেলবন্দি বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের ছবি পোস্ট ঘিরে জল্পনা জেলায়। গুঞ্জন, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন আনিসুর। গুঞ্জনের কারণ, কুরবান শা হত্যা মামলায় হঠাৎই সরকারি আইনজীবী বদল।
২০১৭ সালে পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে আনিসুরের দূরত্ব তৈরি হয়। পরে বিজেপিতে যান আনিসুর। গত বছর ৭ অক্টোবর দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূল নেতা কুরবান শা। খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় আনিসুরের। আনিসুর গ্রেফতার হয়। হাইকোর্টে একাধিকবার খারিজ হয়েছে তাঁর জামিনের আবেদন। তবে কিছুদিন ধরে আনিসুরের ছাড়া পাওয়া নিয়ে পাঁশকুড়ায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ‘বাংলার গর্ব মমতা’র পূর্ব মেদিনীপুর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আনিসুর ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট, তার মুক্তি পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন আরও জোরালো করেছে। ফেসবুক পেজে আনিসুর ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে ‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে’। শুক্রবার সকালে ফের ওই ফেসবুক পেজে আনিসুরের পুরনো কিছু ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে ‘আমার নেত্রী মমতা, দুয়ারে দুয়ারে সরকার জননেত্রীকেই ২০২১-এ আবার দরকার’।
যদিও এ ব্যাপারে তাঁর কিছুই জানা নেই বলে দাবি তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানার। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার গর্ব ফেসবুক পেজগুলি পিকে-র টিম চালায়। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’’ কুরবান শা হত্যা মামলায় সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষকে সরিয়ে সন্দীপ ভট্টাচার্যকে আইনজীবী নিযুক্ত করায় ক্ষুব্ধ কুরবানের পরিবার। কুরবানের দাদা আফজল শা বলেন, ‘‘ভাইয়ের হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এমন সময়ে সরকারি আইনজীবী বদলে মামলা প্রভাবিত হতে পারে। আমি তৃণমূল করি। আমার ভাইয়ের খুনি একজন বিজেপি নেতা। অথচ তৃণমূলের ফেসবুক পেজে অভিযুক্তকে নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব।’’