বৈধ খাদানগুলির সীমানা দেখে নিতে শুরু করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর নিজস্ব চিত্র।
অবৈধ বালি পাচারের সমস্যা মেটাতে লিজ দেওয়া বালি খাদানগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলায় ৮৬টি অনুমোদিত বালি খাদান রয়েছে। সেগুলি দীর্ঘদিনের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। ওই খাদানগুলির জন্য বরাদ্দ সীমানা দেখে নিতে শুরু করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। সীমানা মেপে দেখার পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
লিজ দেওয়া নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে বালি তোলা অবৈধ। যারা লিজ নিয়েছে তারা যেন নিয়ম মেনে বালি তোলে সে কথা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক রশ্মি কোমল বলেন, ‘‘জেলায় অনুমোদিত বালি খাদানগুলির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুমোদন প্রাপ্ত খাদানগুলির সীমানা দেখে নেওয়া হচ্ছে।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তুষার সিংলা বলেন, ‘‘বালি খাদানগুলিতে সীমানা চিহ্নিতকরণ করার কাজ শুরু হয়েছে। নজরদারি চালানো হচ্ছে সব খাদানগুলিতে।’’
সম্প্রতি জল সম্পদ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জেলার ব্লক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মন্ত্রী। তার পরেই পুলিশ ও প্রশাসন অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। একাধিক গাড়ি আটক করা হয়। বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অনুমোদন প্রাপ্ত বালি খাদানের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে পুলিশ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন জেলাশাসক। বৈঠকে ছিলেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারও। ব্লকের ভূমি দফতর এবং বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব খতিয়ে দেখার জন্য।