প্রতীকী চিত্র।
বিধানসভা উপ-নির্বাচনে সাফল্য এসেছে। মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সাংগঠনিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনায় রেলশহরে বৈঠকে বসল জেলা তৃণমূল।
শুক্রবার দুপুরে খড়্গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দলের কার্যালয়ে ওই বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। আগামী ৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী খড়্গপুরে যে প্রশাসনিক জনসভা করবেন সেই বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়। ওই জনসভায় দলের কর্মীদের ভূমিকা বিস্তারিত জানানো হয়েছে। উপ-নির্বাচনের সাফল্য ধরে রেখে কী ভাবে আগামী পুরসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই হবে তার প্রস্তুতিও শুরু করতে বলা হয়েছে। এ দিনের ওই বৈঠকে প্রতিটি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক সভাপতি, পুরপ্রধান ও জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় দলের সব নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা যাবেন বলে ঠিক হয়েছে বৈঠকে। তবে দলের সাধারণ কর্মীরা যদি যেতে চান তবে দলীয় পতাকা ছাড়া যেতে হবে। সভাস্থলে বসার জায়গার অভাব হলে বাইরে দাঁড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই প্রশাসনিক জনসভার আগেই জেলার সংগঠনকে কিছুটা সাজাতে চাইছে তৃণমূল। আগামী রবিবার খড়্গপুর, মেদিনীপুর, ঘাটাল-সহ জেলার সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে জেলায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই বৈঠকে আগামী দিনের নির্বাচনের লড়াইয়ের প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি করা হবে। এ ছাড়া রবিবারের মধ্যেই সব বুথ কমিটিকে সংগঠিত করতে ব্লক ও অঞ্চল সভাপতিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের পরে বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে প্রতিটি ব্লকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “এই জেলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দু’হাত ভরে দিয়েছেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর উনি যেমন খড়্গপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাবেন তেমন আমরাও তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”