সৌম্যেন্দু অধিকারীর গাড়ি আটকাল পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
দেহরক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে সকাল থেকে একের পর এক ওয়ার্ডে ঘুরছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তার ভিত্তিতে অবশেষে কাঁথিতে প্রভাত কুমার কলেজের সামনে সৌম্যেন্দুর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ বাহিনী। যদিও সৌম্যেন্দুর দাবি, তিনি অনুমোদন নিয়েই বেরিয়েছেন।
সকাল থেকেই দেহরক্ষী এবং গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন সৌম্যেন্দু। এমন অভিযোগ তুলছিল তৃণমূল। তৃণমূলের প্রশ্ন, বিজেপি প্রার্থী যে গাড়ি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন তা সৌম্যেন্দু নিয়ে ঘুরছেন কেন? এ নিয়ে সৌম্যেন্দু এবং তাঁর দেহরক্ষীদের সঙ্গে ব্যাপক বচসা বাধে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির। অখিলকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান অখিল পুত্র সুপ্রকাশ গিরি। এর কিছু পরেই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কাঁথিতে প্রভাত কুমার কলেজের সামনে সৌম্যেন্দুর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। ওই সময়ে কলেজে ভোট দিতে এসে ঘটনাটি জানতে পারেন বাবা শিশির অধিকারী। তিনি তখনই ছুটে যান ছেলের কাছে। প্রথমে তিনি সৌম্যেন্দুকে বাড়ি ফিরতে বলেন। সৌম্যেন্দু জানিয়েছেন, তিনি অনুমোদন নিয়েই ঘুরছেন। গাড়ির সামনে লাগানো নির্দেশিকা বাবাকে দেখিয়ে বলেন, ‘‘আমাকে নিয়ে চিন্তা কোরো না। তুমি ভোট দিয়ে বাড়ি যাও।’’ তখন শিশির পাল্টা পুলিশ অফিসারদের ধমক দেন তাঁর ছেলের পথ আটকানোর জন্য। যদিও পুলিশ কর্মীরা এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
শিশিরের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ অবৈধ ভাবে আমার ছেলের পথ আটকে দিয়েছে। আমার ৬০ বছরের ভোটের অভিজ্ঞতায় এমনটা দেখিনি। তৃণমূল চারদিকে সন্ত্রাস, ছাপ্পা করে জিততে চায়। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যই সৌম্যেন্দুকে আটকে দেওয়া হয়েছে।’’
অখিলের পাল্টা তোপ, ‘‘আজ সকাল থেকে বিজেপি প্রার্থীর ব্যবহারের গাড়ি নিয়ে অবৈধ ভাবে ঘুরছেন সৌম্যেন্দু। উনি নিজে প্রার্থী হননি। তার পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল নিয়ে বুথে গিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযেগ জানিয়েছি আমরা।’’