প্রসঙ্গত, কাঁথির পুরনির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগে তুলে ভোট বাতিলের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট গিয়েছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তবে আদালত সেই আর্জি খারিজ করে ভোট গণনায় স্থগিতাদেশ দেয়নি।
শুভেন্দু অধিকারীর মোমবাতি মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট গণনার আগেই কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে কাঁথি শহরে মোমবাতি মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে পথসভায় রবিবারের পুরভোটে কাঁথিতে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশ এবং কাঁথির তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ওরা বলছে জিতবে, খেলা হবে। আমি বলছি, খেলা ভালো করে করিয়ে দেব।’’ তিনি বলেন, ‘‘মহামান্য উচ্চ আদালতকে প্রণাম জানাই। ওঁরা সব সিসিটিভি ফুটেজ এবং কাগজপত্র সংরক্ষণ করতে বলেছেন। এই ফুটেজগুলো দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’ কাঁথির নির্বাচনী সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরাসরি পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। তাঁর উক্তি, ‘‘কিছু পুলিশকে বেছে বেছে আনা হয়েছে। এখানে চোর-ডাকাত এসেছে। ওরা আমাকে চেনে না কত বড়বড় মাতব্বরকে কুপোকাৎ করে এখানে এসেছি।’’
এরই পাশাপাশি মন্ত্রী অখিলকে উদ্দেশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘কাঁথিতে একজন কুৎসিত হাফ মন্ত্রী আছেন। তিনি অখিল গিরি। উনি নবান্নে ডাক পান না। এখানে থেকে ফোন করে পুলিশকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন।’’ দলীয় সমর্থকদের প্রতি শুভেন্দুর আশ্বাস, ‘‘কেউ এতটুকু বিচলিত হবেন না। কাঁথির নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছে। ২০ হাজার ভোটার ভোট দিতে পারেনি। এর জবাব টিক সময়েই ওরা পাবে।’’
প্রসঙ্গত, কাঁথির পুরনির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগে তুলে ভোট বাতিলের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট গিয়েছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তবে আদালত সেই আর্জি খারিজ করে ভোট গণনায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। তবে কাঁথির নির্বাচনের সিসিটিভি ফুটেজ ও কাগজপত্র সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে শুভেন্দু আগাম ময়দানে নেমে পড়লেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।