পানীয় জলের কলের সামনেই পড়ে জঞ্জাল। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজস্ব চিত্র
শহরের রাস্তায় জ্বলছে গ্রিনসিটি প্রকল্পের আলো। রাস্তার মোড় কিংবা জনবহুল এলাকা পরিষ্কার রাখতে পুরসভার তরফে দেওয়া হয়েছে সচেতনতার নানা বার্তা। তবে শ্রী ফেরেনি রাজা চন্দ্রকেতুর চন্দ্রকোনা শহরের। মূল রাস্তা কিংবা অলি-গলি, পুকুর পাড় সর্বত্র পড়ে আবর্জনার স্তূপ। জমে রয়েছে নর্দমার ময়লাও। পুরভোটের আগে ভোট চাইতে আসা ‘ভোটবাবু’-দের কাছে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিতে অপেক্ষায় শহরবাসী।
১২০ বছরের পুরনো শহর চন্দ্রকোনা। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের ধারে ছোট শহরটিতে মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ১২। শহরবাসীর আক্ষেপ— মিশন নির্মল বাংলায় পুরসভা যতটা প্রচারে মন দিয়েছে, আবর্জনা সংস্কারে ততটা আগ্রহী নয় পুরসভা। রাস্তায় ঝাঁট পড়ে না। বাজার, বাসস্ট্যান্ডে দুর্গন্ধে অতিষ্ট হতে হয়। চন্দ্রকোনা শহর ঘুরে দেখা গেল, রাস্তার ধারের নর্দনা থেকে কোথাও ময়লা তুলে রাস্তায় রাখা হয়েছে। ভ্যাটে আবর্জনা উপচে পড়ছে। কোথাও ময়লার স্তূপ। কোথাও কল থেকে পড়ে চলেছে জল।
শহরে বাড়ি বাড়ি ময়লা সংগ্রহ শুরু হয়নি। ভ্যাটও পর্যাপ্ত নয়। শহরের গাছশীতলা মোড়, গোঁসাইবাজার, কলেজ রোড, ঠাকুরবাড়ি বাজার, রেগুলেটেড মার্কেট, হাসপাতাল মোড়, বড়বাজার, মল্লেশ্বরপুর মোড়, বোনা প্রভৃতি এলাকায় ময়লায় অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে নর্দমার একাংশ। রাস্তায় প্লাস্টিক-থার্মোকলের ছড়াছড়ি। শুধু তাই নয়, পাড়ার রাস্তার উপরে ডাবের খোলা, গৃহস্থের ব্যবহৃত আনাজ খোসা পড়ে রয়েছে। শহরের অতি জনবহুল রাস্তা কলেজ মোড়, হাসপাতাল মোড় কিংবা মার্কেটিং এলাকা, বাসস্ট্যান্ডের রাস্তাগুলিতে নিয়মিত ঝাঁটা পড়ে না।
চন্দ্রকোনা শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ— রেগুলেটেড বাজার, ঠাকুরবাড়ি বাজার-সহ ছোট ছোট আনাজ বাজারগুলিতে আবার ‘এত্তা জঞ্জাল’। মাছ বাজারের যাবতীয় ময়লা-সহ নানা পচা সামগ্রী ফেলা হচ্ছে বাজার লাগোয়া পুকুর পাড়ে। সেগুলিই জলে মিশছে। সেই জল ব্যবহার করছেন শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। বাজারগুলিতে ময়লা ফেলার পর্যাপ্ত ভ্যাট নেই। তার জেরে দূষণ বাড়ছে শহরের প্রধান বাজারেও। চন্দ্রকোনা শহরের বাসিন্দা তথা পরিবেশ কর্মী ধ্রবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “ময়লা আবর্জনায় শহরের পুকুরগুলি বুজে যাচ্ছে। জনবহুল বাজারগুলিতে ভ্যাটের সংখ্যা বাড়ানো হলে ভাল হয়।’’ শহরের সাফাই সমস্যার কথা মানলেন পুরসভার চেয়ারম্যান অরূপ ধাড়া। তিনি বলেন, “দ্রুতই শহরে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে শহর পরিষ্কার রাখা হবে’’