প্রতীকী ছবি
পুরভোটের আগে ফের এক দফা ঘর ওয়াপসি হবে। আশায় আছে বিজেপি। তৃণমূলের আশা, ভাঙবে না ঘর।
বিধানসভা উপ-নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে নিজের দল বিজেপিতে ফিরেছিলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারী। বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তৃণমূল জিতলেও ওই ওয়ার্ডে বিজেপি ‘লিড’ পেয়েছে। গেরুয়া শিবিরের আশা, এমন ঘটনা ঘটবে আরও। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “আমাদের দল থেকে চলে যাওয়া কাউন্সিলরদের দু’-তিনজন তৃণমূল থেকে ফিরে আসতে পারেন।’’ একইসঙ্গে টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন তৃণমূল কাউন্সিলরদের ওপরও নজর রাখছে গেরুয়া শিবির। ওয়ার্ড সংরক্ষণের জেরে তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলর নিজেদের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারছেন না। শাসক দল সূত্রের খবর, ওই কাউন্সিলরেরা অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এর ফলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। বিজেপির জেলা সভাপতিও বলছেন, ‘‘অনেকেই যোগাযোগ করছেন। এমনকি তৃণমূলের টিকিটে জয়ী কাউন্সিলররা যোগাযোগ করছেন।” দিন কয়েক আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে শহরের রামমন্দিরে অনুষ্ঠিত পুরসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক হয়। সেখানে দ্রুত ওয়ার্ড কমিটি গড়ে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের ওপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে অবশ্য বলছেন, “কেউ দল ছেড়ে যাচ্ছে না। যাঁরা টিকিট পাবেন না তাঁরাও দল ছাড়বেন না। আর ওয়ার্ডে কাজ না করায় কেউ টিকিট না পেলে কি অন্য দলে গিয়ে জিততে পারবে?”
বেলারানির ওয়ার্ড ছাড়াও আরও ৭টি ওয়ার্ডে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি লিড পেয়েছে। সেগুলির মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া কাউন্সিলর লক্ষ্মী মুর্মু ও সুনীতা গুপ্তর ওয়ার্ডও রয়েছে। শহরে এ বার এই দুই কাউন্সিলর টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও কাউন্সিলর লক্ষ্মী বলেন, “ওয়ার্ডে কাজ করেছি। সেই নিয়মে তৃণমূলের থেকে টিকিট পাওয়া উচিত। টিকিট না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা দেখা যাবে!” আবার সুনীতার স্বামী রাজু গুপ্তও বলেন, “এলাকায় আমরা কাজ করেছি। টিকিট না পেলে কী করব সেটা নিয়ে এখন কিছু মন্তব্য করব না।” শুধু ওয়ার্ড সংরক্ষণ নয়, কাজের নিরিখে কয়েকজন কাউন্সিলরের ভাগ্যে এ বার টিকিট জুটতে না পারে। শমিত জানিয়েছেন, এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের ভাবমূর্তি দেখে নেওয়া হবে।