দেওয়া হচ্ছে খাবার। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনে স্কুল বন্ধ। পড়ুয়ারা ফের কবে স্কুলমুখো হতে পারবে সেই নিশ্চয়তা এখনও নেই। গ্রামের অনেক গরিব পরিবারের সন্তান মিড ডে মিলের উপর নির্ভর করে। স্কুল বন্ধ বলে তাদের অনেকরই দু’বেলা খাবার জুটছে না। পরিস্থিতি দেখে দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াল স্কুল। ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী দিলেন শিক্ষকেরা। লকডাউন চলাকালীন শিক্ষকদের বাড়িতে দেখে এবং সাহায্য পেয়ে হাসি ফুটল ওই ছাত্রছাত্রীদের মুখে।
বুধবার কেশপুরের আনন্দপুরের সাহসপুর ঘোষাল হাইস্কুলের কয়েকজন শিক্ষক দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছেন। তাতে ডাল, সর্ষের তেল, সয়াবিন, বিস্কুট, মাস্ক এবং সাবান ছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ ভুঁইয়া, সহ-শিক্ষক তারাপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিমল বাস্কে, শিক্ষাকর্মী অরুণ বরদোলুই প্রমুখ ছিলেন সেই দলে। সহযোগিতা করেছেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্যরাও। এ দিন প্রায় ১২০ জন ছাত্রছাত্রীর বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন তাঁরা। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের অর্থ সাহায্যেই খাদ্যসামগ্রী কেনা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক পলাশ বলেন, ‘‘এই সময়ে ওই পরিবারগুলির পাশে থাকা জরুরি বলে মনে হয়েছে। তাই এই উদ্যোগ।’’ শুধু খাদ্যসামগ্রী নয়, ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেটও দেওয়া হয়েছে। সেখানে লকডাউন চলাকালীন অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে। স্কুলের এমন উদ্যোগে খুশি ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরাও।
স্কুলের এমন সচেতনতামূলক প্রচারের প্রশংসা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরাও বলেন, ‘‘ওই স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে করোনা নিয়ে লিফলেট দেওয়া হয়েছে। এটা ভাল ব্যাপার। এ ভাবেই তো জনসচেতনতা গড়ে ওঠে।’’
কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষের কথায়, ‘‘স্কুলটির এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এখন সবার এ ভাবেই এগিয়ে এসে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)