—প্রতীকী চিতির
ত্রাণ বিলি নিয়েও বচসায় জড়াল তৃণমূলের দু’পক্ষ। পাঁশকুড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ঘটনায় পরিস্থিত সামাল দিতে যেতে হয় পুলিশকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লকডাউনের শুরু থেকে পাঁশকুড়া শহরের দুঃস্থ ও ভবঘুরেদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি করছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র। অন্যদিকে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভবঘুরেদের রান্না করে খাওয়ানোর কাজ চলছে উপ পুরপ্রধান সইদুল ইসলাম খান এবং তাঁর দাদা তথা সংখ্যালঘু নেতা জইদুল ইসলাম খানের তত্ত্বাবধানে।
বৃহস্পতিবার সুমনা মহাপাত্রের ত্রাণ বিলির গাড়ি পাঁশকুড়া স্টেশনের সামনে ভবঘুরেদের খাবার বিলি করে। অভিযোগ, সে সময় বাধা দেন জইদুল ও সইদুল ইসলামের অনুগামীরা। খবর সেখানে যান সুমনা। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপ পুরপ্রধান সইদুল এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মঞ্জুরী বিবির স্বামী জইদুল। ত্রাণ বিলি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই বচসা শুরু হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, ঘটনাস্থলে যেতে হয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশকে। তাদের হস্তক্ষেপে থামে বচসা।
উপ পুরপ্রধান সইদুল সুমনার নাম না করে বলেন, ‘‘বেশ কয়েকদিন ধরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাইরের থেকে ২৭-২৮ জন লোক এনে ত্রাণ বিলি করছেন, ছবি তুলছেন। লকডাউনে এত জমায়েত করা উচিত নয়। অনেকদিন ধরেই এ ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এমনটা হচ্ছিল বলে শুনেছি। এ দিন নিজে দেখার পরে বাধা দিই।’’ গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সুমনা বলেন, ‘‘স্টেশনের সামনে আমার লোকজন খাবার বিলি করছিলেন। স্থানীয়দের সঙ্গে একটা ছোট্ট সমস্যা হয়। তবে তা মিটেও যায়।’’