দিলীপ ঘোষ।
যুযুধানের পাখির চোখ এখন খড়্গপুর।
বিধানসভা উপ-নির্বাচনে রেলশহর বিজেপি-র থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। খড়্গপুরে তৃণমূলের সেই প্রথম জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার সভা করে গিয়েছেন। আজ, ফের তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক শহর লাগোয়া খড়্গপুর গ্রামীণে।
বসে নেই গেরুয়া শিবিরও। ‘খাসতালুক’ পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আগে একপ্রকার ‘গড়’ আগলে রইলেন। হুঁশিয়ারিও দিলেন দফায় দফায়। কখনও তাঁর নিশানা তৃণমূল, কখনও আবার পুলিশ।
গত শুক্রবার থেকে টানা তিনদিন খড়্গপুরকে কেন্দ্র করেই দুই মেদিনীপুরের নানা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। কখনও গিয়েছেন সবংয়ে, কখনও রেলশহরেই জনসংযোগ সেরেছেন। সোমবার সকালেও খড়্গপুর শহরের তালবাগিচায় দলের এক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। অভিযোগ করেন, “খড়্গপুরে একসময় গুন্ডারাজ-মাফিয়ারাজ ছিল। তার বিরুদ্ধে লড়ে আমরা পরিবর্তন করেছিলাম। বিধানসভা উপ-নির্বাচনে আমরা হেরেছি। মানুষের রায় মেনে নিয়েছি। কিন্তু তারপরেই আবার গুন্ডারাজ শুরু হয়েছে।”
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পুলিশকেও একহাত নিয়েছেন দিলীপ। আর তৃণমূলের প্রতি তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আজকে যাঁরা এই বাংলায় মানুষের ভোট নিয়ে রাজত্ব করছেন, তাঁরা যদি ভাবেন মানুষকে আটকাবেন, ভুল করছেন। মানুষের হাতে শেষ অস্ত্র রয়েছে। সেটা ’২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে টের পাবেন।”