ভেঙে গিয়েছে অস্থায়ী রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।
ভারী বৃষ্টিতে জল বেড়েছে শিলাবতী নদীর। জলের স্রোতে ভেঙে গেল সেই নদী পারাপারের অস্থায়ী রাস্তা।
গড়বেতা ১ ব্লকে গনগনি পর্যটন কেন্দ্রের অদূরে আগরা অঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী। সেখানে থাকা অস্থায়ী মাটির রাস্তার একাংশ কয়েকদিন আগেই ভেঙে যায়। শুক্রবার রাতে সেই ভাঙন আরও বেড়েছে। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে পাশের ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিলাবতী পারাপার করছেন আগরা অঞ্চলের বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে জোরালো হচ্ছে নদীর উপর স্থায়ী সেতু বা কজ়ওয়ে নির্মাণের দাবি।
গনগনির সামনে সরবনি-বান্দুয়া ঘাটে নদীর উপরে যে বাঁশ-কাঠের সাঁকো দিয়ে এখন পারাপার চলছে তা প্রায় প্রতিবছরই এলাকাবাসীর উদ্যোগেই মেরামত করা হয়। গত বছর ফের ওই সাঁকো নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসাবে পাশেই নদী পারাপারের অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করেছিলেন স্থানীয়েরা। নদীর উপরে সিমেন্টের বড় বড় মগরা (পাইপ) বসিয়ে তার উপর বালি-মাটির বস্তা চাপিয়ে ওই রাস্তা করা হয়। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শিলাবতীতে জল বাড়ার পরে সেই রাস্তার একদিকের একটা অংশ ভেঙে যায়। শুক্রবার নদীতে আরও জল বাড়ার পরে সেই রাস্তার বড় অংশই ভেসে চলে গিয়েছে।
অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আগরা অঞ্চলের ১২-১৩টি গ্রামের বাসিন্দারা আপাতত ভাঙাচোরা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ব্যবহার করছেন। ঘটছে দুর্ঘটনাও। বাড়ছে ক্ষোভ। নদীর উপরে স্থায়ী সেতু বা কজ়ওয়ের দাবি তুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন বলছেন, ‘‘প্রতি বছর বর্ষা এলেই নদী পারাপার নিয়ে চিন্তা বাড়ে। বছরের পর বছর অস্থায়ী সাঁকো বা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরাও ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরোচ্ছে। রাত-বিরেতে অসুস্থদের গড়বেতা হাসপাতালে নিয়ে যেতেও ওইভাবে নদী পেরোতে হচ্ছে।’’
ওই সাঁকো ব্যবহার না করে গড়বেতা শহর পৌঁছতে গেলে অনেক বেশি ঘুরতে হয়। মায়তা হয়ে গেলে প্রায় ২০ কিলোমিটার, ধাদিকা হয়ে গেলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। যা অনেকটা সময় সাপেক্ষও বটে। আগরা পঞ্চায়েতের প্রধান আজিম চৌধুরী বলছেন, "এলাকাবাসীর দাবি ন্যায্য। তাঁরা পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে গিয়েও এই দাবি জানিয়েছেন। প্রতি বছর বর্ষায় এই ভোগান্তি থেকে রেহাই দিতে নদীর উপর স্থায়ী সেতু বা কজ়ওয়ে তৈরি জরুরি। উচ্চস্তরেও জানানো হয়েছে।" গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহ জানান, আগরা অঞ্চলের মানুষের নদী পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। যথাস্থানে তা জানানো হয়েছে।