প্রতীকী ছবি।
কখনও মাত্রাতিরিক্ত লোহা আবার কখনও জলে নোংরা থাকার অভিযোগ ওঠে। অনেক সময় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অপরিস্রুত জল মেলে বলে অভিযোগ। সমস্যা মেটাতে এ বার হাসপাতালে চালু করা হবে ওয়াটার এটিএম। হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজা বলেন, “ওয়াটার এটিএম চালুর জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা একটি জায়গাও চিহ্নিত করেছি। ওখানেই ওয়াটার এটিএম হবে। ওই জায়গা ওয়াটার এটিএম তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার লোকজনেদের দেখানোও হয়েছে।” সুপারের কথায়, “প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করি, তাড়াতাড়িই কাজ শুরু হবে।”
অপরিস্রুত জল থেকে নানা রোগ ছড়াতে পারে। মেদিনীপুরে যে পানীয় জল সরবরাহ হয় সেই জলে মাত্রারিক্ত লোহা রয়েছে বলে অভিযোগ। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। শহরের এক স্কুলের সমীক্ষায় আগেই এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় যে পানীয় জল সরবরাহ হয়, সেই প্রতি ১ লিটার জলে লোহা রয়েছে ১.৪৪ মিলিগ্রাম। সাধারণত, ১ লিটার জলে লোহার স্বাভাবিক মাত্রা হল ০.৩০ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ সমীক্ষা অনুযায়ী মেদিনীপুরে সরবরাহ হওয়া স্কুলের লোহার মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।
ওয়াটার এটিএম কী? হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওয়াটার এটিএম একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। এই যন্ত্র থেকে প্রতিদিন এক হাজার লিটার পর্যন্ত পরিস্রুত পানীয় জল বিতরণ করা যেতে পারে। এই যন্ত্রের ক্ষমতা প্রতিদিন পাঁচ হাজার লিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে পারে এই যন্ত্র। ওয়াটার এটিএমে বিভিন্ন ফিল্টারের সঙ্গে উচ্চ গুণমানের ‘অ্যাক্টিভেটেড কার্বন’ রয়েছে। যা জলের মধ্যে থাকা সমস্ত অস্বচ্ছতা, দুর্গন্ধ ও অনান্য ক্ষতিকারক পদার্থকে দূর করে স্বচ্ছ নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করে। জলে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ও অনান্য জীবাণু দূর করার জন্য যন্ত্রে ‘আলট্রা ভায়োলেট রে’-এর যন্ত্রাংশ লাগানো রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওয়াটার এটিএমে ২ টাকা দিলে তবে এক লিটার জল বেরোবে।