UNESCO

পিংলার নয়াগ্রামে পটচিত্রের গ্রাম ঘুরে দেখলেন ইউনেসকোর প্রতিনিধি, মোবাইলে তুললেন ছবিও

টিমোথি বলেন, ‘‘পটচিত্রের গ্রাম ঘুরে দেখে খুব ভাল লাগলো। প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন ওঁরা।’’ মানস বলেন, ‘‘পটচিত্র দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে। ইউনেসকোর প্রতিনিধি সব দেখে গেলেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পিংলা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:০৪
Share:

ইউনেসকোর প্রতিনিধিকে গ্রাম ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন মানস ভুইয়াঁ এবং জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র।

পিংলার নয়াগ্রামে পটচিত্রের গ্রাম পরিদর্শনে এসেছিলেন ইউনেসকো থেকে আসা প্রতিনিধি টিমোথি জন সেবস্টিয়া কার্টিস। শুক্রবার তিনি পটচিত্র গ্রাম পরিদর্শনের পাশাপাশি সবংয়ের মাদুর শিল্পও দেখতে যান। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূইয়া, পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি এবং জেলাশাসক আয়েশা রানি এ।

Advertisement

কলকাতার দুর্গাপূজা স্বীকৃতি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়েই ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশে পদযাত্রার আয়োজন করেছিল রাজ্য। কলকাতার সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন ইউনেসকোর প্রতিনিধি। অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুটি হস্তশিল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। টিমোথি বলেন, ‘‘পটচিত্রের গ্রাম ঘুরে দেখে খুব ভাল লাগলো। সুন্দর পরিবেশ এবং প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন ওঁরা।’’ মন্ত্রী মানস বলেন, ‘‘পটচিত্র রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে। এতে এখানকার শিল্পীদের সৃষ্টিশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলার কথা, পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা। তার কাজ চলছে। এখানে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। ইউনেসকোর প্রতিনিধি এসেছেন, তিনি সব দেখে গেলেন।’’

গ্রামের শিল্পীদের গলায় গানের মধ্যে দিয়েই শুনলেন চণ্ডীমঙ্গল থেকে ৯/১১-র হামলার কথা। ঘুরে দেখলেন পটচিত্রীদের বাড়ি। প্রথমে ‘চিত্রতরু’ ভবনে এসে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পটচিত্র সম্বন্ধে সম্যক ধারণা গ্রহণ করেন ইউনেসকোর কনভেনশন ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটির সম্পাদক টিমোথি। এর পর সকলের সঙ্গে শামিয়ানায় বসে পিংলার পটচিত্রীদের গলায় শোনেন চণ্ডীমঙ্গল থেকে বৃক্ষরোপণ— নানা চিত্রকথা। নিজের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দীও করেন মুহূর্তগুলিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement