বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শাসকদলের দুই বিধায়ক।
জনসংযোগে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শাসকদলের দুই বিধায়ক। শুক্রবার বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের সামনে পড়লেন জঙ্গলমহলের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ হেমব্রম। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইও বিজেপি-র বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন।
বিনপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ হেমব্রমকে ঘিরে বিজেপির বিক্ষোভের প্রতিবাদে বিনপুর-২ ব্লকের হাড়দা গ্রামে অবস্থানে বসেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি-র পাল্টা অভিযোগ, পুলিশকে নিয়ে তাদের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিধায়কের সঙ্গীরা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিন্টু সাহার বাড়িতে ভাঙচুর ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধেও।
এ দিন বিকেলে হাড়দায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন খগেন্দ্রনাথ। গত পঞ্চায়েতে স্থানীয় পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। দলের জেলা সম্পাদক রাজেশ মণ্ডলের বাড়িও হাড়দাতেই। বিকেল তিনটে নাগাদ বিধায়ক গ্রামে ঢুকতেই বিজেপি কর্মীরা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
খগেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘বাড়ি-বাড়ি কথা বলতে যেতেই বিজেপি-র লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে গালিগালাজ করে।’’ বিজেপি নেতা রাজেশের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বিধায়ক ও তৃণমূলের নেতারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছেন। জখম হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত কর্মী প্রদীপ মণ্ডল।’’ পুলিশের হস্তক্ষেপে রাতে দু’পক্ষের অবরোধ ওঠে। বিধায়কও হাড়দা ছাড়েন।
অন্য দিকে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই এ দিন সন্ধ্যায় ঘাটালের সুলতানপুরে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিধায়ককেও আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। শঙ্কর অবশ্য বলেন, “বিজেপির লোকজন কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছিল।” তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝিরও দাবি, “এতে কর্মসূচিতে কোনও প্রভাব পড়েনি।” আর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের ব্যাখ্যা, “গ্রামে গিয়ে প্রকাশ্যেই একজন বিধায়ক হুমকি দিচ্ছে। দেখে নেব বলছে। তাই বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।