বিষ্ণুবর্ধন কামি ও সুশীলকুমার যাদব। —নিজস্ব চিত্র।
একজন শহরের বিদায়ী কাউন্সিলর কংগ্রেসের বিষ্ণুবর্ধন কামি। অন্যজন সুশীলকুমার যাদব, শহর কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। এ বারের পুর নির্বাচনে দু’জনেই প্রার্থী হয়েছেন খড়্গপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের। বিষ্ণুবর্ধন কামি দাঁড়িয়েছেন নিজের দল কংগ্রেস থেকে। সুশীলবাবুর লড়াই তাঁর বিরুদ্ধেই। তিনি এ বার ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী।
১১ মার্চ খড়্গপুর পুরসভার সামনে তৃণমূলের একটি সভায় সুশীলবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তার পরেই তৃণমূল তাঁদের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা করে। ফলে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস জোর ধাক্কা খেয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তবে সে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বিষ্ণুবর্ধন কামি। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের সৈনিক হয়ে জিতেছি। পাঁচ বছর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আবার এখানে তৃণমূল প্রার্থীর রংবদলের চরিত্রও এলাকাবাসীর জানা আছে। তাই মানুষ যে আমাকে জয়ী করবেন এতে কোনও সংশয় নেই।”
কংগ্রেসের অক্ষমতা তুলে প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। মানুষের পাশে থাকতে ধান তোলার উৎসব জহরা পুজোয় পথচারিদের সরবত বিলিয়েছেন। আশাবাদী সুশীলকুমার যাদবও, অস্ত্র করছেন তাঁর দলবদলকে। তিনি বলেন, “বিদায়ী কাউন্সিলরকে জেতাতে মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু পাঁচ বছরে এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি তিনি। এ বিষয়ে জ্ঞানসিংহ সোহনপালকে জানালেও কাউন্সিলরের টনক নড়েনি। তাই সরে এসেছি। আমি মানুষের পাশেই থেকে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি মানুষ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তাঁকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁর বিশ্বাস মানুষই জিতিয়ে দেবেন তাঁকে।