হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত মাটির বাড়ি। টাঙাশোলে। —নিজস্ব চিত্র।
ফের দলছুট হাতির তাণ্ডব গোয়ালতোড়ে। তবে এ বার প্রাণহানি নয়। দুটি দাঁতালের তাণ্ডবে শস্যহানি হয়েছে প্রচুর। তছনছ বাজরা ও ধানের বীজতলা, ভেঙেছে মাটির বাড়িও।
বন দফতর জানাচ্ছে, ৩টি দলছুট হাতি এখন গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে। এর মধ্যে ২ টি হাতি বুধবার রাতে হুমগড় রেঞ্জের টাঙাশোল এলাকায় তাণ্ডব চালায় বলে জানা গিয়েছে। খাবারের সন্ধানে দুটি মাটির বাড়িতেও হানা দেয় তারা। পাথরমারি গ্রামে মিলন মান্ডির বাড়ির অ্যাজবেস্টাসের ছাউনির একাংশ ও টাঙাশোল গ্রামে ভারতী আহিরের মাটির বাড়ির দেওয়ালের একাংশ ভাঙে দাঁতালেরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘জঙ্গলের দু'দিক থেকে দুটি হাতি খাবারের সন্ধানে পাশাপাশি দুটি গ্রামে ঢুকেছিল। দুটি বাড়িতে হানা দেয়। গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে চিৎকার করলে হাতি দুটি জঙ্গলের দিকে চলে যায়।’’ খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা এলাকায় গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেন, গ্রামবাসীকে সতর্কও করে দেন।
দলছুট হাতির হানা থেকে রেহাই মেলেনি ধানের বীজতলা ও বাজরার চাষও। বড়শোল, টাঙাশোল, পেরুয়াবাদ প্রভৃতি এলাকায় হাতির হানায় তছনছ আমন ধানের বীজতলা। গরুর খাদ্যের জন্য এই এলাকায় বাজরা চাষ করেন অনেকে। দলছুট হাতি গুলি মাঝেমধ্যেই বাজরা খেতে ঢুকে নষ্ট করছে খেত। এলাকার চাষিরা বলছেন, সন্ধ্যা হলেই কয়েকটি হাতি বাজরা খেতে চলে আসছে, খেতের ভিতরে ঢুকে তছনছ করছে বাজরা গাছ।
বন দফতরের রূপনারায়ণ ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, "দুটি দলছুট হাতি লালগড়ের দিক থেকে আর একটি বাঁকুড়া জেলার দিক থেকে এসে গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই সেগুলি খাবারের জন্য লোকালয়ে চলে আসছে, ধানের বীজতলা, বাজরা খেত, অন্যান্য আনাজ খেতে ঢুকে নষ্ট করছে। আমরা তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখছি, এলাকার মানুষকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।" বন দফতরের পক্ষ থেকে শস্যহানির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।