কুরবান খুনের বছরপার
Kurban Shah

দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা

বছরপার হয়ে যাওয়ায় কুরবান  হত্যা মামলার দ্রুত বিচার চাইছে তাঁর পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৬:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুর্গাপুজোর নবমীতে দলীয় কার্যালয়ে গত বছর দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা কুরবান শা। আজ, বুধবার ওই ঘটনায় বর্ষপূর্তিতেও অধরা থেকে গিয়েছে মূল দুই অভিযুক্ত। তমলুক আদালতে কুরবান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চললেও পাশকুড়ার মাইশোরাবাসী বাকি দুই অভিযুক্তেরও গ্রেফতারি চাইছেন।

Advertisement

গত ৭ অক্টোবর রাত ১০টায় মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ের ছিলেন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ- সভাপতি কুরবান। সেখানেই তাঁকে গুলি করা হয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডে পুলিশ পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান-সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। মামলায় চার্জশিট দেওয়ার সময় পুলিশ ধৃত শেখ খালেক আহমেদ নামে একজনকে অব্যাহতি দেয়। ধৃত আটজন এখন রয়েছে জেল হেফাজতে। কিন্তু এই মামলায় অন্যতম দুই অভিযুক্ত শীতল মান্না ও হলাম মেহাদি ওরফে কালু এখনও ফেরার। দু’জনেই মাইশোরার বাসিন্দা। শীতল এবং কালু কুরবানের আততায়ীদের মাইশোরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দেওয়া, এলাকা চেনানো এবং ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।

এই মামলায় শীতল ও কালুকে পলাতক ঘোষণা করেই চলছে বিচার প্রক্রিয়া। তবে বছরপার হয়ে যাওয়ায় কুরবান হত্যা মামলার দ্রুত বিচার চাইছে তাঁর পরিবার। নিহত নেতার দাদা আফজল শা বলেন, ‘‘আমার ভাইয়ের খুনিরা দ্রুত শাস্তি পাক এটাই আমরা চাই। যে দু'জন এখনও পলাতক পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেফতার করুক, এটাই আমাদের দাবি।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, কুরবান খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে আনিসুরা বাদে অন্য ধৃতেরা হল মলয় ঘোষ, মোবারক করিম খান, তসলিম আরিফ ওরফে রাজা, নবারুণ মিশ্র, দীপক চক্রবর্তী, নিশীথ পাল ও মহম্মদ আজিম ওরফে পাপ্পু। আদালতে ধৃত আনিসুর রহমান, শ্যুটার তসলিম আরিফ ওরফে রাজা এবং মলয় ঘোষের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র ও অস্ত্র আইনে চার্জ গঠন হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র খুন ও ষড়যন্ত্র এই দুটি আইনে চার্জ গঠন করা হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি খড়্গপুর থেকে ধৃত মহম্মদ আজিম ওরফে পাপ্পুর বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৪ নম্বর ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। কারণ, পাপ্পু এই মামলায় ঘোষিত অপরাধী হিসাবে ফেরার ছিল।

কুরবান হত্যা মামলায় সরকার পক্ষে আইনজীবী আব্দুল মোহিত বলেন, ‘‘কুরবান শা হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। করোনার জন্য বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল। এখন সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি দ্রুত এই মামলার রায়দান হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement