খড়্গপুর স্টেশনে ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
তেলঙ্গানার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মাল্লু ভাট্টি বিক্রমার্কার বাড়িতে চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার পথে খড়্গপুর স্টেশন থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে জিআরপি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রোশনকুমার মণ্ডল এবং উদয়কুমার ঠাকুর। ধৃতদের শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হবে। খবর দেওয়া হয়েছে তেলঙ্গানা পুলিশকেও। ধৃতদের রিমান্ডে নিতে খড়্গপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তেলঙ্গানা পুলিশ।
রেল পুলিশ সূ্ত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বর-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস সকাল ১১টা নাগাদ খড়্গপুর স্টেশনের সাত নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়াতেই ওই দুই যুবক নেমেছিলেন ট্রেন থেকে। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি ট্রলি ব্যাগ। ওই সময় খড়্গপুরের রেল পুলিশ স্পেশাল চেকিং ডিউটি করছিল। স্টেশনে পুলিশকে দেখেই হকচকিয়ে যান রোশন এবং উদয়। পুলিশের চোখে দু’জনের আচরণ সন্দেহজনক ঠেকে। তখন পুলিশ দুই যুবকের সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগটি তল্লাশি করে। তল্লাশি চলাকালীন ওই ব্যাগটি থেকে নগদ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা, ১০০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার বিস্কুট, কিছু বিদেশি মুদ্রা, রুপোর বাসনপত্র ও প্রচুর পরিমাণে অলঙ্কার উদ্ধার হয়। ব্যাগে থাকা জিনিসপত্রের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দু’জনের কেউই। এর পর পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চুরির কিনারা হয়। জানা যায়, ধৃতদের এক জন রোশন বিহারের মধুবনির বাসিন্দা। রোশন তেলঙ্গানার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। চুরির উদ্দেশে কয়েক দিন আগে বিহার মধুবনি থেকে তাঁর বন্ধু উদয়কে ডেকে পাঠায়। দু’জনে মিলে উপমুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়ির সিন্দুকের তালা ভেঙে উক্ত জিনিসগুলো চুরি করে পালিয়ে যায়। তেলঙ্গানা থেকে তাঁরা প্রথমে আসেন ভুবনেশ্বরে। সেখান থেকে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই অনুযায়ী, খড়গপুর স্টেশনে নেমে ফের ট্রেন পরিবর্তন করতেন দু’জনে। কিন্তু তাঁর আগেই রেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে যান দু’জনেই।
রোশন এবং উদয়কে জিজ্ঞাসাবাদের পর তেলঙ্গানার বানজারা হিলস থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, এই চুরির ঘটনায় ওই থানায় রোশনের নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হবে।