শুভেন্দু অধিকারী।
দিনভর কর্মসূচির পর রাতে কাঁথির বাড়িতে ফিরছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আচমকাই বিরোধী দলনেতার কনভয়ের সামনে হাজির হয় একটি বাইক ও একটি ছোট গাড়ি। বেপরোয়া ভাবে সেই কনভয়কে ধাওয়া করে ওই দুই গাড়ি পৌঁছে গিয়েছিল একেবারে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের দোরগোড়ায়। এর পরেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের দেহরক্ষীরা ওই দুই গাড়িরই চালককে আটক করে! বৃহস্পতিবার রাতেই খবর পেয়ে ধরা পড়া দুই যুবককে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ওই বাইক এবং ছোট গাড়িতে চালক ছাড়া আর কেউই ছিলেন না। ওই দুই যুবককে আটকে রেখে তাঁর দেহরক্ষীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু কেন তাঁরা বিরোধী দলনেতার গাড়ির পিছু ধাওয়া করেছিলেন, সে ব্যাপারে দু’জনের কেউই মুখ খোলেননি। এর পরেই কাঁথি থানায় খবর পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের দু’টি গাড়িও থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই গাড়ি দু’টিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথি। তার ভিত্তিতেও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু দু’জনেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কাঁথি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘কী উদ্দেশ্য নিয়ে ওঁরা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেছিলেন, তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি আমরা। উদ্ধার হওয়া ছোট গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন তমলুকের ঠিকানায়।’’
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ‘জ়েড ক্যাটেগরি’র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন শুভেন্দু। তাঁরা বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের সাংসদ তথা শুভেন্দুর সেজো ভাই দিব্যেন্দু এবং ছোট ভাই তথা বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতা সৌমেন্দুও ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান।