প্রতীকী চিত্র
বেরিয়েছিলেন বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে আর যাওয়া হল না। পথেই দাঁড়ি পড়ে গেল চারটি জীবনের।
শনিবার দুপুরে পিক-আপ ভ্যান উল্টে মৃত্যু হল ওই চার জনের। দুর্ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগড় থানার বাঁশগেড়িয়ায়। আহত আরও ১২ জন। তাঁদের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিশ্বনাথ টুডু (৩৪), ভোটারাম মুর্মু (৫০), দেবেন্দ্রনাথ টুডু (৫১) ও কঁদা মুর্মু (৩৮)। তাঁদের মধ্যে চারজনেরই বাড়ি নয়াগ্রামে। কঁদা নরডিতে ও বাকিরা কেশররেখায় থাকতেন। পৃথ টুডু নামে এক আহত বলেন, ‘‘বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। গাড়িটি দ্রুত ছুটছিল। হঠাৎ গাড়িটি উল্টে যায়।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী রীতি অনুযায়ী বিয়ে সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কেশররেখা থেকে কয়েকটি গাড়ি ভাড়া করে সবংয়ের বনাই যাচ্ছিলেন অনেকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পিক আপ ভ্যানটিতে ১৬ জন ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটি প্রথমে রাস্তার ধারের একটি মাইলস্টোনে ধাক্কা মারে। তারপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। বিদ্যুতের খুঁটিটিও ভেঙে গাড়ির উপরে পড়ে। ছিটকে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। ওই রাস্তার ধারে নিজের বাড়ির চারপাশে বেড়া দিচ্ছিলেন একজন। তিনিও গুরুতর আহত হন। গাড়িটির চালক পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও পুলিশ মিলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি দ্রুতগতিতে আসছিল। তাই নিয়ন্ত্রণ হারান চালক।
অন্যদিকে, কেশিয়াড়ি থানার কুকাইয়ের কাছে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে একটি ছোট গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্রীমন্ত মাইতি (৪৭)। বাড়ি কেশিয়াড়ির বিদ্যাধর এলাকায়। তিনি আনাজের ফেরিওয়ালা ছিলেন। শনিবার সকালে কেশিয়াড়ি থেকে আনাজ কিনে মোটরবাইকে ফিরছিলেন তিনি। রাজ্য সড়ক থেকে গ্রামের রাস্তায় ঢোকার সময়ে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে কেশিয়াড়ি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার পরে ওই রাজ্য সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাম্প তৈরি করেন।