Deforestation

নিজের ওয়ার্ডে কোপ পড়েছে গাছে, জানেনই না পুরপ্রধান

আদালতের নির্দেশে সংস্থার সেই জমি আইনি জটে আটকে রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সেই জমিতে রয়েছে আকাশমণি, ইউক্যালিপ্টাস ও মেনগিনি-সহ আরও নানা গাছ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৭
Share:

অলুয়াতে বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব চিত্র।

খাস পুর-প্রধানের ওয়ার্ডে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল এক অর্থলগ্নি সংস্থার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। যদিও ওই সংস্থার চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি নিজের জায়গার গাছ কাটছেন এবং অর্থলগ্নি সংস্থার জমিটি অবস্থিত তাঁর জায়গার ঠিক পাশেই। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাটি আপাতত আদালতে বিচারাধীন। সেই সংস্থার জমির গাছই কাটছেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি এ-ও অভিযোগ উঠেছে যে, বহুমূল্যের সেই গাছগুলি কাটার আগে বন দফতরের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।

Advertisement

এগরা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি তৃণমূল-শাসিত পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন নায়কের এলাকা। সেই ওয়ার্ডে অলুয়ায় গত ২০০৪ সাল নাগাদ একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষদের মোটা অঙ্কের সুদের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেই সংস্থার তরফে কৃষকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সংস্থাটি অলুয়া-সহ একাধিক এলাকায় কয়েক একর জায়গাও কেনে। অলুয়ার বাসিন্দা তথা নারায়ণচন্দ্র মান্না সংস্থার তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই অর্থলগ্নি সংস্থাটি ২০০৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর লগ্নিকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে সংস্থার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে এখনও মামলা চলছে।

আদালতের নির্দেশে সংস্থার সেই জমি আইনি জটে আটকে রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সেই জমিতে রয়েছে আকাশমণি, ইউক্যালিপ্টাস ও মেনগিনি-সহ আরও নানা গাছ। এই রকমই বেশ কয়েকটি গাছ বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই শনিবার কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে সংস্থার তৎকালীন চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র মান্নার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা-সহ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারিত গ্রাহকেরা প্রথমে সেই গাছ কাটতে বাধা দিলেও কোনও কথা শোনেনি অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরবর্তীতে প্রতারিত আমানতকারীরা জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করলে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, ওই জমির তাঁর ব্যক্তিগত। অথচ তাঁর ওয়ার্ডে বিতর্কিত জায়গায় গাছ কাটা হলেও, বিষয়টি নাকি জানেনই না পুরপ্রধান।

Advertisement

প্রতারিত এক আমানতকারী মদনমোহন জানার কথায়, ‘‘বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে। জনস্বার্থ মামলায় এই জায়গাটি এখন হাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সেই জায়গার গাছ গোপনে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।’’ এই প্রসঙ্গে নারায়ণচন্দ্র মান্নার যুক্তি, ‘‘আমার ব্যক্তিগত জায়গার গাছ কেটেছি। আমার জায়গার পাশেই সংস্থার জায়গা রয়েছে। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ বিষয়টি নিয়ে এগরা পুর-প্রধান স্বপন নায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের গাছ কাটার বিষয় আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement