Environment

কোদাল নয় ভরসা যন্ত্র, গাছের উপযুক্ত জায়গার খোঁজ ম্যাপে

কোদাল ফেলে এই মেশিন মুহূর্তেই গাছের শিকড় অনুযায়ী মাটি খুঁড়ে দিতে সক্ষম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০১:৫৫
Share:

যন্ত্রে সাহায্যে পোঁতা হচ্ছে গাছের চারা। নিজস্ব চিত্র

গাছ লাগাতে সাহায্য নেওয়া হল গুগল ম্যাপের। হলদিয়ায় কোথায় সবুজ কম, কোথায় কী ধরনের গাছ লাগানো উচিত তা নিয়ে ছোটখাটো গবেষণা। অতঃপর আনা হল মাটি কাটার মেশিন। কোদাল ফেলে এই মেশিন মুহূর্তেই গাছের শিকড় অনুযায়ী মাটি খুঁড়ে দিতে সক্ষম। ওঁদের কেউ প্রতিষ্ঠিত কৃষি বিজ্ঞানী, কেউ ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। দলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার থেকে আইনজীবীও রয়েছেন। এঁদের হাত ধরেই প্রযুক্তির মাধ্যমে সবুজায়ন প্রক্রিয়া শুরু হল হলদিয়ায়।

Advertisement

ঘূর্ণিঝড়ে ভালই ক্ষতি হয়েছে শিল্পশহরে। এক সময় সবুজ শহর হিসেবে পরিচিত ছিল এই বন্দরনগরী। কিন্তু আমপানের জেরে সেই সবুজ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ফের শিল্পশহরে সবুজ ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন শহরের এই তরুণদল। গুগল ম্যাপ তৈরি করলেন হলদিয়ার নিরিখে। সেই ম্যাপ দেখে তাঁরা গাছ লাগানোর রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। কোন জায়গায় কোন মাটিতে কী ধরনের গাছ হবে তার পরিকল্পনা করেই সবুজায়নে এগিয়ে এসেছেন হলদিয়ার বাসিন্দা শামিম আলি, মানিক ভুঁইয়া, শেখ শামিম আখতার, সৌরদীপ মাইতি, সাদিকুর রহমান, সুজয় মাইতি। রবিবার এঁদের উদ্যোগে হলদি নদীর ধারে নারকেলের সঙ্গে লাগানো হল হলুদ পলাশ। হলুদ পলাশ এনেছিলেন সুজয় মাইতি । গাছ লাগানোর যন্ত্র আনেন শামিম আলি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে অনেকেই গাছ লাগাতে পছন্দ করেন। কিন্তু শারীরিকভাবে সক্ষম না হওয়ায় কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে গাছ লাগানোর উৎসাহ অনেকেই হারিয়ে ফেলেন। তা ছাড়া কোদালে গর্ত খুঁড়তে অনেক সময় লাগে। এই যন্ত্র প্রয়োজন অনুযায়ী গর্ত খুঁড়তে পারে। তা ছাড়া ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০টি গাছ লাগানোর জন্য গর্ত খুঁড়তে পারে।’’ মানিক ভুঁইয়া বলেন, ‘‘আমরা প্রথমে জায়গা চিহ্নিত করছি। সেখানে যন্ত্রের সাহায্যে এক মিনিটে গর্ত করা হচ্ছে। গর্তে গাছ লাগাচ্ছে অন্য দল। সার দিচ্ছেন অন্যরা। বেড়া তৈরি করছেন আরেকটি দল। শিল্প শহরে সবুজ ফেরাতে এভাবেই দ্রুত কাজ চলছে।’’ শামিম আখতারের কথায়, ‘‘হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নিজেদের খরচেই আমাদের এই উদ্যোগ। কেউ ডাকলে আমরা গিয়ে গাছ লাগিয়ে আসব।’’

সুজয় মাইতি জানান, উপকূলএলাকায় নারকেল গাছ টিকে থাকতে পারে। তাই এ দিন নারকেল গাছ লাগানো হয়েছে। অনেকেই গাছ লাগান। কিন্তু গাছের পরিচর্যার ক্ষেত্রে আর তাঁদের তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। সে দিক থেকে এই তরুণরা ছোট ছোট ক্ষেত্রে গাছ লাগানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তা প্রশংসার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement